কুশল দাশগুপ্ত, শিলিগুড়ি:
রাতভর বৃষ্টিতে বেহাল দার্জিলিং ও কালিম্পং জেলা। কালিম্পংয়ে ১০ নম্বর জাতীয় সড়কের লিকুভির ও বিরিকদারায় ধস নামে। বিশাল পাথরের চাঁই ছিটকে রাস্তায় পড়ায় সেবক থেকে ডুয়ার্সগামী রাস্তা বন্ধ হয়ে যায়। ধস নামে পাঙ্খাবাড়ি রোডেও। বেহাল শহর শিলিগুড়িও।
শহরের নানা এলাকায় বৃষ্টির জল জমে। ইস্টার্ন বাইপাস লাগোয়া ভবেশ মোড়ে স্থানীয় বাসিন্দারা বৃষ্টির জল সরানোর দাবিতে বিক্ষোভ দেখান। রেহাই পায়নি পুরসভাও। সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা নাগাদ বৃষ্টি নামে। রাতভর তো বটেই, মঙ্গলবার বেলা সাড়ে এগারোটা নাগাদ বৃষ্টি কমে।
আরও পড়ুন: গ্রেফতার নৌসেনা কর্মী! সন্দেহ ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর সময় গোপন তথ্য পাচার!
আবহাওয়া দপ্তরের হিসাব, গত চব্বিশ ঘণ্টায় কালিম্পংয়ে ৪০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়। অন্যদিকে, শিলিগুড়িতে বৃষ্টি হয় ১৪৬ মিলিমিটার। অতিবৃষ্টির জেরে এদিন সকাল থেকে আচমকা ফুলে ওঠে মহানন্দা নদী। দ্রুত মহানন্দা ব্যারাজের সমস্ত গেট খুলে দেওয়া হয়। নিচু এলাকার বাসিন্দাদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যাওয়ার পরামর্শ দিয়ে সাইরেন বাজিয়ে সতর্ক করা হয়।
অতিবৃষ্টি থেকে রেহাই পায়নি শিলিগুড়ি পুরসভারও। শিলিগুড়ি পুরসভার সদ্য নির্মিত ভবনের সিড়ি বেয়ে স্রোতের মতো জল নামতে শুরু করে। বৃষ্টির জল ঢুকে পড়ে পুরসভার লিফটেও। পুরসভার বিরোধী দলনেতা অমিত জৈন সাংবাদিক বৈঠকে ডেকে ঘটনার তদন্তের দাবি জানান।
আরও পড়ুন: ভবানীপুর পুলিশ হাসপাতালের কাছে আগুন, রাতেই খবর গেল মুখ্যমন্ত্রীর কাছে
মেয়র গৌতম দেব অবশ্য বলেন, ‘সামান্য ঘটনা। কর্মীদের অসতর্কতার জেরে ছাদের জলনিকাশী পাইপের মুখে শুকনো পাতা জমে গিয়ে এই কাণ্ড। পাতা সরিয়ে দেওয়া উচিত ছিল।’
তবে ফের বড়সড় প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের আশঙ্কায় ১০ নম্বর জাতীয় সড়কে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। জাতীয় সড়ক পরিকাঠামো উন্নয়ন নিগমের পক্ষ থেকে ১০ নম্বর জাতীয় সড়কে যান নিয়ন্ত্রণ শুরু হয়েছে। পাথরের চাঁই সরিয়ে দিয়ে ডুয়ার্সগামী রাস্তায় যান চলাচলের ব্যবস্থা করা হয়।