এবারের বড়দিনে শীতের আমেজ সেভাবে অনুভব করতে পারেনি বঙ্গবাসী। হাড়কাঁপানো ঠাণ্ডা তো দূর, বরং ‘উষ্ণ’ ক্রিসমাসের সাক্ষী থেকেছে বাংলা। এবার আসছে নববর্ষ। নতুন বছরেও কি শীতের দেখা মিলবে না? আপাতত এই প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে শীতবিলাসীদের মনে। এই আবহে বড় আপডেট দিল আলিপুর আবহাওয়া দফতর।
নববর্ষের আবহে কেমন থাকবে বাংলার আবহাওয়া
গত কয়েকদিনে দক্ষিণবঙ্গে সেভাবে জাঁকিয়ে ঠাণ্ডা অনুভব হয়নি। বরং বহু বাড়িতে ‘আরামের ঘুমে’র জন্য চালাতে হয়েছে ফ্যান! এই আবহে শীতপ্রেমীদের সুখবর দিল হাওয়া অফিস। আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানাচ্ছে, সোম, মঙ্গলবার থেকে আবহাওয়ার বদল হতে পারে। হু হু করে নামতে পারে পারদ। অর্থাৎ বর্ষশেষ এবং নতুন বছরের আবহে জমিয়ে শীতের আমেজ অনুভব হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস বলছে, উত্তর-পশ্চিম ভারতে পশ্চিমী ঝঞ্ঝা ঢুকেছে। আগামী পয়লা জানুয়ারি নতুন করে পশ্চিমী ঝঞ্ঝা প্রবেশ করবে। এদিকে উত্তর-পশ্চিম ভারতে জেডস্ট্রিম উইন্ড রয়েছে। সেই সঙ্গেই পূর্ব বাংলাদেশ ও সংলগ্ন অঞ্চলে রয়েছে একটি ঘূর্ণাবর্ত। রাজস্থানেও একটি সক্রিয় ঘূর্ণাবর্ত রয়েছে বলে খবর।
আরও পড়ুন: Today,s Horoscope: আজ ২৯শে ডিসেম্বের রবিবার, সূর্যদেবের আশীর্বাদে আপনার আজকের দিনটি কেমন যাবে?
আবহাওয়া দফতর জানাচ্ছে, দক্ষিণবঙ্গের তিনটি জেলায় বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। মুর্শিদাবাদ, বীরভূম এবং পশ্চিম বর্ধমানে দু-এক পশলা বৃষ্টি হতে পারে। দক্ষিণবঙ্গের পাশাপাশি উত্তরবঙ্গেও বর্ষণের সম্ভাবনা রয়েছে। উত্তরের প্রত্যেকটি জেলায় বৃষ্টি হতে পারে বলে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। দার্জিলিংয়ে তুষারপাত এবং কালিম্পংয়ে শিলাবৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
বড়দিনের আবহে ঠাণ্ডার আমেজ অনুভব না হলেও, নতুন বছরের গোড়াতেই ‘কামব্যাক’ করতে শীত। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস তেমনটাই বলছে। পশ্চিমের জেলাগুলিতে একধাক্কায় ১০ ডিগ্রির নীচে নেমে যেতে পারে তাপমাত্রা।
আরও পড়ুন: Purulia: পুরুলিয়া রেস্টলিং টেলেন্ট হান্ট ক্যাম্প অনুষ্ঠিত কোটশিলায়
আগামী ২৪ ঘণ্টায় দক্ষিণবঙ্গে ১-২ ডিগ্রি সেলসিয়াস অবধি তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেতে পারে। তবে সপ্তাহের শুরু থেকেই আবহাওয়ার বদল চোখে পড়তে পারে। বুধবারের মধ্যে একধাক্কায় ৫ ডিগ্রি অবধি তাপমাত্রা কমে যেতে পারে। মঙ্গল এবং বুধবার শহর কলকাতাতেও শীতের আমেজ পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। একধাক্কায় ১৪ ডিগ্রি বা তারও নীচে নামতে পারে তাপমাত্রা। সব মিলিয়ে, বড়দিনে ‘বঞ্চিত’ হলেও বর্ষশেষ এবং নববর্ষের আবহে হিমেল পরশ থাকবে বাংলায়।