উড়ল পতাকা। সেজে উঠেছে কাশ্মীর। অবশেষে খুলে গেল শ্রীনগর-লাদাখের সংযোগ পথ। আর তা ঘিরে উপত্যকায় উৎসবের আমেজ। সাধারণের সঙ্গে সেই উৎসবে পা মিলিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও। এদিন নবনির্মিত জেড-মোড় সুড়ঙ্গ উদ্বোধন করতে কাশ্মীর সফরে যান তিনি।
উপত্যকায় উন্নয়নযজ্ঞ দেখে আবেগে ভেসেছেন সেখানকার বাসিন্দারাও। মোদীর হাত ধরেই জম্মু-কাশ্মীরের স্বপ্ন সফল হয়েছে, বলে দাবি করেন এক বাসিন্দা। তিনি আরও বলেন, ‘আজ বিরাট খুশির দিন। এই সুড়ঙ্গের হাত ধরে ভোল বদলে যাবে কাশ্মীরের। লাদাখ যাওয়ার রাস্তা আরও সহজ হবে। বাড়তি শক্তি পাবে প্রতিরক্ষাও।’
আরও পড়ুন: Defence Research: পোখরানে সাফল্য,টার্গেট’ ধ্বংস করে দিল ভারতের ‘নাগ
সোনমার্গের এই সুড়ঙ্গের হাত ধরে কাশ্মীরে বদলের হাওয়া। এর ফলে সব ঋতুতেই কাশ্মীর ও লাদাখের যোগাযোগ খুলে যাবে। যার জেরে বাড়বে পর্যটন। উন্নত হবে প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। খুব সহজেই বাধা বিপত্তিকে এড়িয়ে লাদাখের একাধিক সেনাঘাঁটিতে প্রতিরক্ষা সামগ্রী-সহ সেনাদের জন্য খাবার ও ওষুধপত্র পৌঁছানো সহজ হয়ে যাবে।
সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৮ হাজার ৬৫০ ফুট উচ্চতায় অবস্থিত এই সুড়ঙ্গ পথ তৈরিতে ২ হাজার ৭০০ কোটি টাকা খরচ করেছে কেন্দ্র। আগামী কয়েক বছরের মধ্যে খুলে যাবে কাশ্মীরের জোজিলা পাসও। যার মাধ্যমে লাদাখের সঙ্গে শ্রীনগরের পথের দূরত্ব ৪৯ কিলোমিটার থেকে কমে নেমে আসবে ৪৩ কিলোমিটারে।
ইতিমধ্যে এই সুড়ঙ্গের উদ্বোধন ঘিরে বদলে গিয়েছে কাশ্মীরের রাজনৈতিক আবহাওয়াও। এদিন উপত্যকায় সুড়ঙ্গ উদ্বোধন করতে এলেন নরেন্দ্র মোদী। আর তার আগেই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি পর্ব সরেজমিনে পর্যবেক্ষণ করে আসেন কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাহ। দিল্লির সঙ্গে যে সহযোগিতার সমীকরণেই নেমেছেন তিনি, এমনটাই দাবি রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের।