ফের ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনা। লাইনচ্যুত হল দু’টি মালগাড়ি। উত্তেজনা ছড়াল এলাকাজুড়ে। ঘটনা উত্তরপ্রদেশের ফতেপুর এলাকার। সিগন্যালের অপেক্ষায় নিজের মতো দাঁড়িয়েছিল প্রথম মালগাড়িটি। তখনই হঠাৎ পিছন থেকে এসে ধাক্কা মারে আরও একটি মালগাড়ি।
আরও পড়ুন: South Dinajpur: দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার সুস্বাদু মধু এবার গুজরাটে
খবর পেতেই ছুটে যান রেলকর্মীরা। প্রশাসনিক সূত্রে খবর, কোনও হতাহতের ঘটনা নেই। তবে স্থানীয় সূত্রের দাবি, মাল গাড়ির চালক-সহ দুই রেলকর্মী আহত হয়েছেন।
ঠিক কী ঘটেছিল?
এদিন ভোর ৪.৩০ নাগাদ নিজের মতোই সিগন্যালের অপেক্ষায় উত্তরপ্রদেশের সুজাতাপুর ও রুসালাবাদ রেল স্টেশনের কাছে দাঁড়িয়েছিল প্রথম মালগাড়িটি। তখনই পিছন থেকে এসে প্রথম ট্রেনটিকে ধাক্কা মারে আরও একটি মালগাড়ি।
প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, ঘটনার ক্ষণিকের মধ্যেই এলাকায় ছুটে আসে স্থানীয় খাগা থানার পুলিশ। দ্রুত শেষ হয় উদ্ধার কাজ। হাসপাতালে পাঠানো হয় সেই দুই ট্রেনের চালক ও অন্যান্য কর্মীদের।
কিন্তু একই লাইনে কীভাবে নামল দু’টি ট্রেন? এই নিয়ে ইতিমধ্যে রেলমন্ত্রক কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছে একাংশ। গত কয়েক বছর ধরেই দেশে বেড়েছে ট্রেন দুর্ঘটনার সংখ্যা। এই একই ভাবে এক লাইনে দুটি ট্রেন চলে আসার জেরে ঘটে করমণ্ডল রেলদুর্ঘটনার মতো ভয়াবহ ঘটনা। যার জেরে প্রাণ গিয়েছিল প্রায় ৩০০-এর বেশি যাত্রীর।
আরও পড়ুন: US DEPORTATION TO INDIA: আমেরিকায় থাকা অবৈধ অভিবাসীদের ভারতে পাঠানো শুরু, উড়ল বিমান
শুধু তাই নয়, গত সপ্তাহেই মহারাষ্ট্রের জলগাঁওয়ে ট্রেনের লাইনে কাটা পড়ল ১১ জন যাত্রী। নিজেদের ট্রেন থেকে নেমে পাশের লাইনে পা রাখতেই মৃত্যু গিলে খেল তাদের। মূলত, ট্রেনে আগুন লাগার খবর ছড়িয়ে পড়তেই প্রাণ বাঁচাতে লাইনে নেমে পড়েছিল তারা। কিন্তু হঠাৎ করেই ঘটে যায় বিপত্তি। পাশের লাইনে পা রাখতেই কর্ণাটক এক্সপ্রেসের নিচে কাটা পড়ল তারা। আর তাতেই বাড়ে উত্তেজনা। বাড়ে বিতর্ক। আর সেই বিতর্কের আগুনে ‘ঘি পড়ে’, যখন জানা যায়, আদৌ কোনও আগুন লাগার ঘটনা ঘটেনি। পুরোটাই আসলে গুজব ছিল।