২৬ হাজার চাকরি বাতিলেরই পরই বিশেষ বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুকে তলব করলেন মুখ্যমন্ত্রী। শিক্ষামন্ত্রী-সহ শিক্ষাদফতরের বিশেষ আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন মুখ্যমন্ত্রী। ইতিমধ্যেই নবান্নে পৌঁছে গিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। দুপুর তিনটেয় বৈঠক। শিক্ষা আধিকারিকদের একাংশ বলছেন, সুপ্রিম কোর্ট চাকরি বাতিলের যে নির্দেশ দিয়েছে, তা বাংলার ইতিহাসে এই প্রথম।
আরও পড়ুন: নতুন ‘বিড়ম্বনায়’ রাজ্য সরকার, এপ্রিলে এপ্রিলফুল
ইতিমধ্যেই শিক্ষাসচিব বিনোদ কুমার বলেন, “আমরা দ্রুত বসছি সকলে, কোর্টের কী অর্ডার রয়েছে, সেটা গোটাটা ভালো করে দেখা হবে। এরপর পরবর্তী কী পদক্ষেপ করা হবে, তার ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত হবে।” ‘ফ্রেশ সিকেকশন প্রসেস’ নিয়ে শিক্ষাসচিব বলেন, “এটা আমার পক্ষে এখনই বলাটা কঠিন। টিমের সঙ্গে বসতে হবে। নির্দেশনামা ভাল করে পড়তে হবে। তারপরই বলতে পারব।”
২০১৬ সালের শিক্ষক নিয়োগের পুরো প্যানেল বাতিল করেছে সুপ্রিম কোর্ট। সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না এবং বিচারপতি সঞ্জয় কুমারের বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, কারচুপি করা হয়েছে। কোনওভাবেই যোগ্য অযোগ্য বাছাই করা সম্ভব হচ্ছে না।
তবে সম্পূর্ণ নতুন একটি সিলেকশন প্রসেস হবে, তা তিন মাসের মধ্যে সম্পূর্ণ করতে হবে। এই তিন মাসের মধ্যে যাঁরা বৈধ, তাঁরা যে বিভাগে কাজ করতেন, সেখানে তাঁরা চাকরি চালিয়ে যাবেন। তাঁরা তিন মাস ধরে বেতনও পাবেন। তবে কারা কারা ব্ল্যাঙ্ক OMR শিট জমা দিয়েছিলেন, তাঁদের নামের তালিকা ইতিমধ্যেই তৈরি করা রয়েছে। তাঁরা ফ্রেশ সিলেকশনে বসে পারবেন না।