পহেলগাঁও কাণ্ডের পর দু’সপ্তাহ পেরিয়ে গিয়েছে, এখনও হামলাকারী জঙ্গিদের হদিস মেলেনি। তাদের খোঁজে উপত্যকা জুড়ে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। পাশাপাশি, এই কাণ্ডে জড়িত তিন পাকিস্তানি জঙ্গির ছবি ছাপিয়ে দক্ষিণ কাশ্মীরের সোপিয়ানের সর্বত্র পোস্টার দিল পুলিশ। শুধু তা-ই নয়, জঙ্গিদের হদিস দিতে পারলে ২০ লক্ষ নগদ টাকার পুরস্কারও দেওয়া হবে বলে পুলিশের তরফে ঘোষণা করা হয়েছে।
দক্ষিণ কাশ্মীরের পাহাড়ি এবং জঙ্গল এলাকায় তল্লাশি অভিযান চলছে। তার মধ্যেই মঙ্গলবার সোপিয়ানেই চার লশকর জঙ্গির উপস্থিতির খবর পেয়ে তল্লাশি অভিযানে গিয়েছে সেনা এবং পুলিশ। জঙ্গিদের সঙ্গে গুলির লড়াই জারি। ঘটনাচক্রে, তদন্তকারীরা আগেই আশঙ্কা করেছিলেন, পহেলগাঁও কাণ্ডের জঙ্গিরা দক্ষিণ কাশ্মীরের কোথাও লুকিয়ে রয়েছে। সোপিয়ানের এই চার জঙ্গি কি পহেলগাঁওয়ের চক্রীরা, তা নিয়েও জল্পনা শুরু হয়ে গিয়েছে।
আরও পড়ুন: বাংলার সঙ্গে বৈষম্য! আচমকা বাড়ল পেট্রল-ডিজ়েলের দাম, কারণ নিয়ে ধোঁয়াশা
তিন পাক জঙ্গির স্কেচ আগেই প্রকাশ করেছিল পুলিশ। এ বার তাদের ছবি ছাপিয়ে পোস্টার দিল তারা। গত ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ের বৈসরন উপত্যকায় হামলা চালায় জঙ্গিরা। তাদের মধ্যে তিন জন পাকিস্তানি জঙ্গিকে চিহ্নিত করেছে পুলিশ এবং গোয়েন্দা সংস্থাগুলি। এক জন স্থানীয় জঙ্গিকেও চিহ্নিত করা হয়েছে। কিন্তু ঘটনার পর থেকে সেই চার জঙ্গির কোনও হদিস মেলেনি। পুলিশ, সেনার পাশাপাশি এই হামলার তদন্ত চালাচ্ছে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ)।
জঙ্গিদের সহযোগিতা করার অভিযোগে ইতিমধ্যেই কাশ্মীর উপত্যকার বেশ কয়েকটি এলাকা থেকে একশোরও বেশি স্থানীয়কে গ্রেফতার করা হয়েছে। মূলত তাঁরা জঙ্গিদের ‘ওভারগ্রাউন্ড ওয়ার্কার’ হিসাবে কাজ করতেন। এ রকম আরও কারা কারা এই ঘটনায় জড়িত, সেই খোঁজও চালাচ্ছেন তদন্তকারীরা। কিন্তু পহেলগাঁও কাণ্ডের পর দু’সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও এখনও ধরা যায়নি জঙ্গিদের। দক্ষিণ কাশ্মীরের পাহাড়ি এবং জঙ্গল এলাকায় তল্লাশি অভিযান চলছে। তার মধ্যেই মঙ্গলবার সোপিয়ানেই চার লশকর জঙ্গির উপস্থিতির খবর পেয়ে তল্লাশি অভিযানে গিয়েছে সেনা এবং পুলিশ। জঙ্গিদের সঙ্গে গুলির লড়াই জারি। ঘটনাচক্রে, তদন্তকারীরা আগেই আশঙ্কা করেছিলেন, পহেলগাঁও কাণ্ডের জঙ্গিরা দক্ষিণ কাশ্মীরের কোথাও লুকিয়ে রয়েছে। সোপিয়ানের এই চার জঙ্গি কি পহেলগাঁওয়ের চক্রীরা, তা নিয়েও জল্পনা শুরু হয়ে গিয়েছে।
আরও পড়ুন: দল থেকে বহিষ্কৃত হয়েও ফিরেছিলেন দলে, সিপিএম নেতা নেপালদেব ভট্টাচার্য প্রয়াত
পহেলগাঁও কাণ্ডের পর গত ৭ মে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে প্রত্যাঘাতে নামে ভারতীয় সেনা। অভিযানের নাম দেওয়া হয় ‘অপারেশন সিঁদুর’। জইশ, লশকর জঙ্গিদের ন’টি ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। তার পর থেকে দু’দেশের মধ্যে সামরিক অস্থিরতা তৈরি হয়। পাকিস্তান একের পর এক ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলা চালানোর চেষ্টা করে। যদিও সব হামলাই প্রতিহত করেছে ভারতের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। পাকিস্তানের বেশ কয়েকটি বায়ুসেনাঘাঁটিতেও আঘাত হানে ভারতের বায়ুসেনা। জম্মু, পঞ্জাব, রাজস্থান এবং গুজরাতে লাগাতার হামলার চেষ্টা করে পাকিস্তান। পাল্টা জবাব দিয়েছে ভারতীয় সেনাও।