Tuesday, 17 June, 2025
17 June, 2025
Homeউত্তরবঙ্গSiliguri: আরজি কর থিতোতেই টহল বন্ধ পুলিশের

Siliguri: আরজি কর থিতোতেই টহল বন্ধ পুলিশের

পুলিশ প্রশাসন থেকে বলা হয়েছিল, নিয়মিত বাইকে খোদ পুলিশকর্তারা রাতের দিকে টহলে বেরোবেন। মনে খুব আশ্বস্ত হয়েছিলাম। কিন্তু বাস্তবে কিছুই নেই।

অনেক কম খরচে ভিডিও এডিটিং, ফটো এডিটিং, ব্যানার ডিজাইনিং, ওয়েবসাইট ডিজাইনিং এবং মার্কেটিং এর সমস্ত রকম সার্ভিস পান আমাদের থেকে। আমাদের (বঙ্গবার্তার) উদ্যোগ - BB Tech Support. যোগাযোগ - +91 9836137343.

কুশল দাশগুপ্ত, শিলিগুড়ি:

আরজি করে তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার পর পুলিশের ওপর সাধারণ মানুষের ক্ষোভ আছড়ে পড়েছিল। সেটা সামাল দিতে পুলিশ লোক দেখাতে মানুষের পাশে থাকার কৌশল নেয়। নিরাপত্তার বুলি আউড়ে পাড়ায় পাড়ায় বাইকে করে টহলদারি শুরু হয়। ক্ষুব্ধ জনতার মন গলাতে পুলিশের পদস্থ কর্তারাও পথে নামেন। পুজোর আগে পুলিশকর্তাদের বাইকে করে শহরের পথে ঘুরতে দেখে মানুষ আশ্বস্ত হয়েছিলেন। তাই শিলিগুড়ি থানার আইসি প্রসেনজিৎ বিশ্বাসের সাইকেল করে পুলিশকর্মীদের সঙ্গে টহলে বেরোনোর ওপর শহরবাসীর তরফে দাবি উঠতে শুরু করেছিল, এধরনের টহল আরও প্রয়োজন।

শিলিগুড়ি মেট্রোপলিটান পুলিশও চলতি বছরের এক তারিখ থেকে সবুজ টহলের ওপর গুরুত্ব দেওয়ার কথা বলেছিল। প্রতিটি থানায় পাঁচটি করে সাইকেলও পৌঁছে দেওয়া হয়েছিল। সাইকেলে টহল দিয়ে ঘটা করে ফোটোসেশনও হয়। এখন সব উদ্যোগেই ইতি টানা হয়েছে। ‘আরজি কর আন্দোলন’ হিমঘরে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই উধাও হয়ে গিয়েছে সাইকেলের টহলদারি। নেই বাইকে করে পদস্থ কর্তাদের টহলও। এমনকি সাইকেল টহলের কথা বলতেই পুলিশকর্মীদের মুখ এখন গোমড়া হয়ে যাচ্ছে।

আরও পড়ুন: ভয় দেখিয়ে মুখ বন্ধ করা যাবে না; বালি মাফিয়া এখন অর্ধেক ডুয়ার্সের ত্রাস

অনেকে আবার মনে পড়ার পর বলছেন, ‘না না, সাইকেল টহল হবে। ওটা শেষ হয়ে যায়নি।’ যদিও কোথায় সেই টহল প্রশ্ন তুলছেন শহরের সাধারণ মানুষ। শিলিগুড়ি মেট্রোপলিটান পুলিশের ডিসিপি (ইস্ট) রাকেশ সিংয়ের দাবি, ‘পুলিশের গাড়ির টহলদারি তো হচ্ছেই। বাইক-সাইকেলেও হচ্ছে। তাছাড়া আমরা সাদা পোশাকের পুলিশকে আরও ভালো করে কাজ করার জন্য বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছি।’ তবে পদস্থ কর্তাদের বাইকে টহল কিংবা পুলিশকর্মীদের সাইকেলে টহল যে বন্ধ হয়ে গিয়েছে তা তাঁদের শরীরের ভাষাই বলে দিচ্ছে।

শিলিগুড়িতে চুরি এখন নিত্যদিনের ঘটনা। বিভিন্ন ঘটনায় নারী নিরাপত্তা নিয়েও প্রশ্ন ওঠে। অথচ এই সব সমস্যার জন্যই তো বাইকে টহলের আওয়াজ উঠেছিল, বলছিলেন শহরের বাসিন্দা অনিন্দিতা দাস। মলে কাজ করে বাড়ি ফিরতে প্রায়দিনই রাত বেশ অনেকটাই হয়ে যায়। তিনি বলছিলেন, ‘পুলিশ প্রশাসন থেকে বলা হয়েছিল, নিয়মিত বাইকে খোদ পুলিশকর্তারা রাতের দিকে টহলে বেরোবেন। মনে খুব আশ্বস্ত হয়েছিলাম। কিন্তু বাস্তবে কিছুই নেই।’ তিনি বলেন, ‘গত শনিবারই মাটিগাড়ার শপিং মল থেকে কাজ সেরে হায়দরপাড়ায় বাড়ি ফেরার সময় দার্জিলিং মোড়ের একপাশে একটি টহলদারি ভ্যান ছাড়া আর কিছুই দেখলাম না।’

আরও পড়ুন: বিরিয়ানি-প্রীতিতে আঘাত! দূরত্ব বাড়াচ্ছেন ‘প্রেমিক’রা

আরজি কর আন্দোলনের সময় সূর্য সেন মাঠে বান্ধবীর সঙ্গে আড্ডা দেওয়ার সময় হঠাৎই পুলিশকর্মীরা এসে জিজ্ঞাসা করেছিলেন, ‘আপনাদের এখানে কোনও অসুবিধা হচ্ছে না তো?’ অক্টোবর মাসের সেদিনের কথাই মনে করছিলেন দীপান্বিতা দাস। তিনি ক্ষোভের সুরে বলেন, ‘এখন কেউ আর জিজ্ঞাসা করতে আসে না। আসলে যত তোড়জোড় ওই সময়টার জন্যই ছিল।’ পূর্ণিমা দাস বলেন, ‘নতুন বর্ষে সেবক রোডে ওই প্রথম-ওই শেষ টহল দিতে দেখেছিলাম। তারপর আর কোথায়?’ সাইকেলে টহলদারি নেই উত্তরায়ণেও। অলিগলিতে বাইক-সাইকেলে টহলদারি দূরের ব্যাপার, রাত বাড়তেই নিরাপত্তাহীনতায় খাঁখাঁ করে শহরের বিভিন্ন রাস্তা।

এই মুহূর্তে

আরও পড়ুন