ওবিসি শংসাপত্র দুর্নীতি কেলেঙ্কারি: উত্তরবঙ্গের ছাত্রসমাজের ভবিষ্যৎ আজ সংকটের মুখে
আরও পড়ুন: ছাব্বিশের আগে কি বড় বার্তা বিমানদের! কালীগঞ্জ উপনির্বাচনে বাম-কংগ্রেস জোট?
PSU – প্রগ্রেসিভ স্টুডেন্টস ইউনিয়নের রাজ্য যুগ্ম সম্পাদক ও আলিপুরদুয়ার জেলা সম্পাদক, জলপাইগুড়ি ল কলেজের ছাত্র রাজীব হুসেন জানান “ওবিসি শংসাপত্র মামলার জেরে জলপাইগুড়ি ল কলেজ সহ উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন কলেজের ভর্তি প্রক্রিয়া স্থগিত রাখা হয়েছে — এই ঘটনা গোটা উত্তরবঙ্গের ছাত্রসমাজে তীব্র উদ্বেগ ও অনিশ্চয়তা তৈরি করেছে। আমরা দেখছি, প্রশাসনের দুর্নীতি ও অপদার্থতার ফল ভোগ করতে হচ্ছে নিরীহ মেধাবী ছাত্রছাত্রীদের, যাদের স্বপ্ন আজ প্রশ্নের মুখে। জলপাইগুড়ি ল কলেজের একজন ছাত্র হিসেবে, গভীর ক্ষোভের সঙ্গে জানাতে চাই যে, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের দুর্নীতি ও দায়িত্বজ্ঞানহীনতার কারণে আজ লক্ষ লক্ষ ছাত্রছাত্রীর ভবিষ্যৎ অন্ধকারে নিমজ্জিত। ওবিসি শংসাপত্র বিতরণে যে ভয়াবহ অনিয়ম ও রাজনৈতিক স্বার্থসিদ্ধির খেলা চলেছে, তা হাইকোর্টের রায়েই পরিষ্কার। ২০১০ সালের পর দেওয়া প্রায় ১২ লক্ষ ওবিসি শংসাপত্র বাতিল হওয়া মানেই, সরকার সংরক্ষণের নামে তথ্যবিহীন, পক্ষপাতদুষ্ট এবং দুর্নীতিপূর্ণ নীতি চালিয়েছে।
আরও পড়ুন:
এর পরিণতি?
জলপাইগুড়ি ল কলেজ ও উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় সহ একাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তি প্রক্রিয়া স্থগিত। পিছিয়ে পড়া শ্রেণির হাজার হাজার ছাত্রছাত্রী আজ ভর্তির সুযোগ থেকে বঞ্চিত।
আমাদের জিজ্ঞাসা —
ছাত্রদের কী অপরাধ?
কেন আমরা ভোটের অঙ্ক কষার মরা কাঠ হিসেবে ব্যবহৃত হবো?
দুর্নীতির দায় ছাত্র সমাজ নেবে কেন?
আমরা প্রগ্রেসিভ স্টুডেন্টস ইউনিয়নের পক্ষ থেকে দাবি জানাচ্ছি:
- অবিলম্বে স্বচ্ছ, বৈজ্ঞানিক ও নিরপেক্ষভাবে ওবিসি তালিকা নতুন করে নির্ধারণ ও সমীক্ষা সম্পন্ন করতে হবে।
- এই দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক মহলের প্রত্যেককে বিচারের আওতায় এনে কঠোর শাস্তি দিতে হবে।
পশ্চিমবঙ্গ সরকার যদি এখনও শিক্ষা ও ছাত্রদের ভবিষ্যৎ নিয়ে অবহেলা করে, তাহলে এক কথায় বলি — এই সরকারের বিরুদ্ধে ছাত্র সমাজ জেগে উঠবে। আন্দোলন হবে, রাস্তায় হবে, ক্যাম্পাসে হবে। শিক্ষার নামে প্রতারণার জবাব দিতে আমরা প্রস্তুত।
ছাত্র সমাজকে রাজনৈতিক খেলার গিনিপিগ বানানো হলে, প্রতিরোধ শুধু স্বতঃস্ফূর্ত হবে না — বিদ্রোহ হবে।”