শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে শনিবার এসডিপিও অফিসে হাজিরা দেননি বীরভূমের তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল। কিন্তু এ দিনই কিছুটা বেলা গড়াতেই পার্টি অফিসের উদ্দেশে রওনা দিলেন তিনি। সেখানে গিয়ে বসলেন নিজের জন্য নির্ধারিত চেয়ারে।
আরও পড়ুন: সাবধান হয়ে যান ইউটিউবার, ব্লগাররা, ধরা পড়লেই চরম শাস্তি
বোলপুর থানার আইসি লিটন হালদারের সঙ্গে অনুব্রত মণ্ডলের ফোনে কথোপকথনের একটি অডিয়ো ক্লিপ সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক ভাইরাল হয়। সেখানে অশ্রাব্য ভাষায় এই পুলিশ আধিকারিকের সঙ্গে কথা বলতে শোনা যায় অনুব্রত মণ্ডলকে। পরে অবশ্য দলের নির্দেশে ক্ষমাও চান তিনি। এ ঘটনায় পুলিশের তরফে এফআইআর করা হয়। শনিবার সেই মামলায় তাঁকে এসডিপিও অফিসে হাজিরা দিতে বলা হলেও তিনি যাননি শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে। পরিবর্তে এসডিপিও-র অফিসে যান তাঁর ৬ আইনজীবী।
আরও পড়ুন: আগামীকাল ১ জুন থেকে চলবে না WhatsApp
বেলা ১১টায় এই পুলিশি হাজিরা এড়ালেও বেলা ৩টে ১০ নাগাদ নিজের বাড়ি থেকে বেরিয়ে গাড়িতে করে সোজা জেলা পার্টি অফিসে যান তিনি। এর পরেই ফিসফাস শুরু হয়েছে জেলার অন্দরে। মাত্র ১ কিলোমিটার দূরে এসডিপিও অফিসে শারীরিক অসুস্থতার জন্য হাজির না হলেও কী ভাবে দলীয় কার্যালয়ে গেলেন তিনি? প্রশ্ন তুলছেন বিরোধীরা। যদিও এ প্রসঙ্গে এখনও অনুব্রত মণ্ডলের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
এ দিকে ইতিমধ্যেই বোলপুরে তৃণমূলের কার্যালয়ে পৌঁছেছেন বিকাশ রায় চৌধুরী, চন্দ্রনাথ সিনহা ও সুদীপ্ত ঘোষ। তাঁদেরও এ দিন দলীয় কার্যালয়ে যাওয়া কি নিছক কাকতালীয়, না কি নেপথ্যে রয়েছে অন্য কোনও কারণ? উঠছে প্রশ্ন।