কুশল দাশগুপ্ত, শিলিগুড়ি:
কাঠ কুড়োতে প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে নেমে পড়ছেন তিস্তায়। কেউ আবার রেল সেতুর সঙ্গে কোমরে দড়ি বেঁধে নেমে পড়ছেন ভরা নদীতে। এমনই জিনিস লক্ষ্য করা যাচ্ছে জলপাইগুড়ির তিস্তাপাড়ের বাসিন্দাদের একাংশের মধ্যে।
যার জন্য ১১ জনকে জরিমানা করেছে আরপিএফ এবং জিআরপি। আরপিএফের বক্তব্য, নদী থেকে কাঠ সংগ্রহের জন্য রেল সেতু ব্যবহার করা হলে যে কোনও সময়ে বড় ধরনের দূর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে। তাই বাসিন্দাদের এই কাজ থেকে বিরত রাখতে জরিমানা আদায় করা হচ্ছে। পাশাপাশি সেতুতে নজরদারি বাড়নো হচ্ছে।
নদীতে ভেসে আসা কাঠ সংগ্রহ করা নতুন কিছু নয়। এই কাঠ সংগ্রহ করে জ্বালানির কাজে ব্যবহার করেন তিস্তাপাড়ের লোকজন। অনেকে আবার বিক্রি করে কিছু অর্থ উপার্জনও করেন। গত কয়েক দিন থেকে সিকিম পাহাড়ে ব্যপক বৃষ্টিপাতের পর জলস্তর বাড়ছে তিস্তায়।
আরও পড়ুন: ট্যাক্সি দালালদের দৌরাত্ম্য রাত বাড়লেই, সমস্যায় ট্রেনযাত্রীরা
আর তাতেই পাহাড় থেকে জলস্রোতে ভেসে আসছে কাঠ। আর ওই কাঠ সংগ্রহের প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে তিস্তাপাড়ের দোমোহনি বিবেকানন্দ পল্লির বাসিন্দাদের একাংশের মধ্যে। এদের মধ্যে অনেকেই তিস্তা রেল সেতুর উপর থেকে কোমড়ে দড়ি বেধে খরস্রোতা নদীতে নেমে পড়ছেন।
আরও পড়ুন: আলো জ্বলছে, পাখা ঘুরছে; কাজ লাটে চুঁচুড়া পুরসভায়
স্থানীয় বাসিন্দা বসন্ত রায় বলেন, ‘প্রতিবছর এ ভাবেই নদী থেকে আমরা কাঠ সংগ্রহ করি। যাঁরা বেশি কাঠ সংগ্রহ করতে পারবেন, তাঁদের সারা বছরের জ্বালানির চিন্তা মিটে যাবে। তাই একটা অলিখিত প্রতিযোগিতা চলে।’
জলপাইগুড়ি রোড স্টেশনের আরপিএফ ইন্সপেক্টর বিপ্লব দত্ত বলেন, ‘যে ভাবে রেল সেতু ব্যবহার করা হচ্ছে তা বিপজ্জনক। এলাকায় মাইকিং করে সতর্ক করার পাশাপাশি ১১ জনকে জরিমানা করা হয়েছে। কেউ যাতে রেল সেতুতে যেতে না পারে তার জন্য নজরদারি চালানো হচ্ছে।’