মহিলা সাংবাদিকের সঙ্গে অভব্য আচরণের অভিযোগ। দলের প্রাক্তন বিধায়ক তন্ময় ভট্টাচার্যকে নিয়ে গত বছরের অক্টোবরে অস্বস্তি বেড়েছিল সিপিএমের। ২ দফায় তাঁকে সাসপেন্ড করা হয়। ৬ মাসের সেই সাসপেনশন অবশেষে উঠল। ২ দিনের রাজ্য কমিটির বৈঠকে তন্ময়ের উপর থেকে সাসপেনশন প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে জানা গিয়েছে। আপাতত রাজ্য দফতরে এসে অর্থাৎ আলিমুদ্দিন স্ট্রিটে মুজফ্ফর আহমেদ ভবনে কাজ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বরাহনগরের বাসিন্দা তন্ময়কে।
আরও পড়ুন: শিলিগুড়ির এমএমআইসি নিজে ছাত্রদের সাথে বসে খাওয়া দাওয়া করলেন
গত বছরের ২৭ অক্টোবর এক মহিলা সাংবাদিকের সঙ্গে অভব্য আচরণের অভিযোগ ওঠে তন্ময়ের বিরুদ্ধে। ওই মহিলা সাংবাদিক তন্ময়ের সাক্ষাৎকার নিতে তাঁর বাড়িতে গিয়েছিলেন। অভিযোগ, সেইসময় তাঁর কোলে বসে পড়েন উত্তর দমদমের প্রাক্তন বিধায়ক।
মহিলা সাংবাদিকের অভিযোগ ঘিরে রাজ্য রাজনীতিতে শোরগোল পড়ে। সেদিন সন্ধেতেই প্রেস বিবৃতি দিয়ে তন্ময়কে সাসপেন্ড করার কথা জানায় আলিমুদ্দিন স্ট্রিট। মাস দেড়েক পরে দলের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে তাঁর উপর থেকে সাসপেনশন প্রত্যাহারের কথা জানানো হয়। তন্ময়কে সাসপেন্ড করার পর অভিযোগ খতিয়ে দেখতে কমিটি গড়েছিল সিপিএম। কমিটির তদন্ত শেষে সাসপেনশন প্রত্যাহার করা হয়।
আরও পড়ুন: শিলিগুড়ির এমএমআইসি নিজে ছাত্রদের সাথে বসে খাওয়া দাওয়া করলেন
সাসপেনশন প্রত্যাহারের কয়েকদিন পর ফের সাসপেন্ড করা হয় তন্ময়কে। জানা গিয়েছে, মহিলা সাংবাদিককে হেনস্থার ঘটনায় দলের প্রাক্তন এই বিধায়কের বিরুদ্ধে কোনও প্রমাণ পাওয়া না গেলেও তাঁর বিরুদ্ধে আগে এই ধরনের আচরণের প্রমাণ মিলেছে। তাই, সিপিএমের রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলী তন্ময়কে ৬ মাস সাসপেন্ড করার সিদ্ধান্ত নেয়। এই নিয়ে বৃন্দা কারাটেরও পরামর্শ নেওয়া হয়েছিল বলে জানা গিয়েছে।
৬ মাসের সেই সাসপেনশন এবার উঠে গেল। মঙ্গল ও বুধবার আলিমুদ্দিন স্ট্রিটে সিপিএমের ২ দিনের রাজ্য কমিটির বৈঠক হয়। সেই বৈঠকের সাসপেনশন প্রত্যাহার নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তন্ময় সিপিএমের উত্তর ২৪ পরগনার নেতা। আপাতত তাঁকে দলের রাজ্য দফতরে কাজ করতে বলা হয়েছে।