Wednesday, 9 July, 2025
9 July, 2025
HomeকলকাতাMamta Banerjee: ‘৫০ বছরের বেশি বাংলায় কাটানোর পর নোটিস! NRC চাপিয়ে দেওয়া...

Mamta Banerjee: ‘৫০ বছরের বেশি বাংলায় কাটানোর পর নোটিস! NRC চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে’, বিচলিত মুখ্যমন্ত্রী

‘অসমের বিজেপি সরকার এ রাজ্যে এনআরসি চাপানোর চেষ্টা করছে’! দিনহাটার ঘটনায় পদ্মশিবিরকে তোপ মমতার

অনেক কম খরচে ভিডিও এডিটিং, ফটো এডিটিং, ব্যানার ডিজাইনিং, ওয়েবসাইট ডিজাইনিং এবং মার্কেটিং এর সমস্ত রকম সার্ভিস পান আমাদের থেকে। আমাদের (বঙ্গবার্তার) উদ্যোগ - BB Tech Support. যোগাযোগ - +91 9836137343.

অসম থেকে আসা বাংলার বাসিন্দাকে এনআরসি নোটিস দেওয়ার ঘটনায় ফুঁসে উঠলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার সকালে এক্স হ্যান্ডেল পোস্টে তিনি বিষয়টি উল্লেখ করে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে কার্যত তুলোধোনা করেছেন। এই নোটিস আসলে বাংলার মানুষের পরিচয় মুছে ফেলার অপচেষ্টা বলে উল্লেখ করে তাঁর স্পষ্ট হুঁশিয়ারি, ভারতবর্ষের সাংবিধানিক কাঠামোকে ধ্বংস করা হলে, বাংলা চুপ করে থাকবে না। এর বিরুদ্ধে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলিকে একজোট হওয়ার আহ্বানও জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।

I am shocked and deeply disturbed to learn that the Foreigners Tribunal in Assam has issued an NRC notice to Uttam Kumar Brajabasi, a Rajbanshi, resident of Dinhata in Cooch Behar for over 50 years. Despite furnishing valid identity documents, he is being harassed on suspicion of…

— Mamata Banerjee (@MamataOfficial) July 8, 2025

এদিন এক্স হ্যান্ডেল পোস্টে মুখ্যমন্ত্রী বাংলা ও ইংরাজি দুই ভাষাতে লিখেছেন, ‘আমি হতবাক ও অত্যন্ত বিচলিত হয়েছি জেনে যে, কোচবিহারের দিনহাটার বাসিন্দা রাজবংশী সম্প্রদায়ের উত্তম কুমার ব্রজবাসীকে অসমের ফরেনার্স ট্রাইবুনাল, এনআরসি নোটিশ জারি করেছে। গত ৫০ বছরেরও বেশি সময় ধরে তিনি এই বাংলার বাসিন্দা। তাঁর বৈধ পরিচয়পত্র থাকা সত্ত্বেও, তাঁকে বিদেশি/অবৈধ অনুপ্রবেশকারী সন্দেহে হয়রানি করা হচ্ছে। এটি আমাদের গণতন্ত্রের উপর একটি পরিকল্পিত আক্রমণ ছাড়া আর কিছুই নয়। এটিই প্রমাণ করে যে অসমে ক্ষমতাসীন বিজেপি সরকার পশ্চিমবঙ্গে এনআরসি চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে, যেখানে তাদের কোনো ক্ষমতা বা অধিকার নেই। প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে ভয় দেখানো, ভোটাধিকার কেড়ে নেওয়া এবং নিশানা করার একটি পূর্বপরিকল্পিত নোংরা চক্রান্ত চলছে। এই অসাংবিধানিক আগ্রাসন জনবিরোধী এবং এটি বিজেপির বিপজ্জনক ষড়যন্ত্রকে দিনের আলোর মত স্পষ্ট করে দিচ্ছে যে, গণতান্ত্রিক সুরক্ষাকে ধ্বংস করে বাংলার মানুষের পরিচয় মুছে ফেলার অপচেষ্টা চালাচ্ছে বিজেপি।

আরও পড়ুন: প্লাবন হাওড়া-হুগলিতে! জল ছাড়ার পরিমাণ বাড়াল DVC

এই উদ্বেগজনক পরিস্থিতিতে সমস্ত বিরোধী দলগুলির একজোট হওয়া এবং বিজেপির বিভাজনমূলক ও দমন পীড়নের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো অত্যন্ত জরুরি। ভারতবর্ষের সাংবিধানিক কাঠামোকে ধ্বংস করা হলে, বাংলা চুপ করে থাকবে না।’

ঘটনার প্রেক্ষাপট জানতে গেলে পিছিয়ে যেতে হবে সেই জানুয়ারি মাসে। ডাকযোগে একটি চিঠি পান কোচবিহার জেলার সীমান্ত এলাকার বাসিন্দা উত্তমকুমার ব্রজবাসী। প্রথমে তিনি বিষয়টা বুঝতে পারেননি। পরবর্তীতে জানতে পারেন, ওই চিঠি এনআরসির নোটিস, যা পাঠানো হয়েছে গুয়াহাটি থেকে। তাতে আতঙ্কিত হয়ে প্রশাসনের দ্বারস্থ হন উত্তমকুমার ব্রজবাসী। এনআরসি নোটিসে উল্লেখ, ভেরিফিকেশনের জন্য আগামী ১৫ জুলাইয়ের মধ্যে তাঁকে অসমের কামরুপে জেলা পুলিশ সুপারের কাছে হাজিরা দিতে হবে। দেখাতে হবে ভারতীয় হওয়ার প্রমাণপত্র। কিন্তু উত্তমবাবুর দাবি, তাঁরা অসম থেকে এসেছেন ঠিকই। বংশ পরম্পরায় বাংলার বাসিন্দা। কেন আচমকা নতুন করে তাঁকে সেসব প্রমাণ দাখিল করতে হবে, তা বুঝতেই পারছেন না।

আরও পড়ুন: সন্ধ্যা হলেই রাজাবাজার সায়েন্স কলেজের ইউনিয়নে রুমে ‘রঙিন কারবার’

এই ঘটনা নিয়ে তোলপাড় পড়ে গিয়েছে কোচবিহারের রাজনীতিতেও। সম্প্রতি ভোটার তালিকা সংশোধনের ফর্ম দেখে মুখ্যমন্ত্রী সতর্কবার্তা দিয়েছিলেন, ফর্মে যে যে তথ্য চাওয়া হতে তাতে এনআরসি লাগু করার আশঙ্কা রয়েছে। সেই আশঙ্কা সত্যি করেই উত্তমকুমার ব্রজবাসী পেলেন এনআরসি ফর্ম। তা জেনেই বিজেপি শাসিত সরকারের বিরুদ্ধে ফের গর্জে উঠলেন মুখ্যমন্ত্রী।

 

এই মুহূর্তে

আরও পড়ুন