রুমকী কুণ্ড, কলকাতা:
শুরু হয়ে গেল ‘আনডকিং’ প্রক্রিয়া। মহাকাশের আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশন থেকে পৃথিবীর দিকে যাত্রা শুরু করলেন ভারতীয় মহাকাশচারী শুভাংশু শুক্ল এবং তাঁর সঙ্গীরা। নির্ধারিত সময়ের একটু পরে বিকেল ৪টে ৪৫ মিনিট (ভারতীয় সময়)-এ মহাকাশকেন্দ্র থেকে বিচ্ছিন্ন হয় শুভাংশুদের মহাকাশযান। সব কিছু ঠিক থাকলে ভারতীয় বেলা ৩টে নাগাদ আমেরিকার ক্যালিফোর্নিয়া উপকূলে নামার কথা সেটির।
আরও পড়ুনঃ সারা শরীরে লাল-লাল দাগ, স্কুলের মধ্যেই ক্লাস সিক্সের ছাত্রের সঙ্গে যা ঘটল!
গত ২৫ জুন স্পেসএক্সের ‘ড্রাগন’ মহাকাশযানে চড়ে আইএসএসের উদ্দেশে পাড়ি দিয়েছিলেন শুভাংশুরা। তাঁর সঙ্গে গিয়েছেন অ্যাক্সিয়ম-৪-এর ক্রু-কমান্ডার পেগি হুইটসন, মিশন বিশেষজ্ঞ স্লাওস উজানস্কি-উইজ়নিউস্কি এবং টিবর কাপু। ১৮ দিন মহাকাশে কাটানোর পর সোমবার তাঁদের ফিরতি যাত্রা শুরু হল।
আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্রে আগেই বিদায় সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছিল শুভাংশু এবং তাঁর সঙ্গী তিন মহাকাশচারীকে। সেই সময় রাকেশ শর্মার উক্তির রেশ ধরে শুভাংশু বলেছিলেন, ‘‘ভারত আজও ‘সারে জঁহা সে আচ্ছা’।’’
আরও পড়ুনঃ ঘন ঘন যাতায়াত নয়; বাংলায় ঘাঁটি গাড়তে চলেছেন শাহ
নাসা জানিয়েছে, আইএসএস থেকে আলাদা হওয়ার পরেই শুভাংশুদের ক্যাপসুল পৃথিবীর দিকে এগোতে শুরু করবে। এই সময়ে ক্যাপসুলের গতি কমানোর জন্য এক বার রকেট নিক্ষেপ করা হবে। একে বলে ‘রেট্রোগ্রেড বার্ন’। মহাকাশযানটি যাতে নিরাপদে, নির্বিঘ্নে পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণে প্রবেশ করতে পারে, তা নিশ্চিত করে এই ‘রেট্রোগ্রেড বার্ন’। পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে প্রবেশের সঙ্গে সঙ্গে শুভাংশুদের ক্যাপসুল তীব্র তাপ এবং ঘর্ষণের সম্মুখীন হবে। এই সময়ে ক্যাপসুলের গতি থাকবে ঘণ্টায় ২৮ হাজার কিলোমিটার। ধীরে ধীরে যা কমে আসবে ২৪ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টায়।
পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে প্রবেশের পর দু’টি প্যারাশুট খুলবে শুভাংশুদের ক্যাপসুল থেকে। প্রথমটি ছোট। তার ফলে গতি সামান্য কমবে। তার পর নির্দিষ্ট দূরত্বে পৌঁছোনোর পরে খুলে যাবে মূল প্যারাশুটটি। নাসা জানিয়েছে, যদি আবহাওয়া অনুকূল থাকে, ক্যালিফর্নিয়ার উপকূলে প্রশান্ত মহাসাগরের মাঝে ধীরে ধীরে নামবে শুভাংশুদের ক্যাপসুল।
আরও পড়ুনঃ বাবা-মা চুপ! ৩ বছরের নিষ্পাপ শিশুকে ‘ধর্ষণ’; গুণধর নিজেই ভাইরাল করল কীর্তি
সমুদ্রে অবতরণের পর স্পেসএক্সের একটি দল দ্রুত পৌঁছে যাবে শুভাংশুদের ক্যাপসুলের কাছে। ক্যাপসুলটিকে তারা তুলে নেবে জাহাজে। তার পর সেখানেই একে একে বেরিয়ে আসবেন নভশ্চরেরা।