অভিযোগ, জলপাইগুড়ি শহর ও শহরতলি এলাকায় একের পর এক গড়ে উঠছে বহুতল, আবাসন ও শপিং মল। সরকারি আইনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে সে সব আবাসন ও শপিং মলে গভীর নলকূপ বসানো হয়েছে। ভূগর্ভস্থ জল উত্তোলন করা হলেও সে সব আবাসন ও শপিং মলে বৃষ্টির জল ধরে রেখে পরে তা ব্যবহার করার কোনও প্রকল্প নেই বলেও সূত্রের খবর।
আরও পড়ুন: Siliguri: ইকো ট্যুরিজম শিলিগুড়িতে যুগান্তকারী অধ্যায়
অভিযোগ, জলপাইগুড়ি শহর, শহরতলি-সহ জেলার বিভিন্ন প্রান্তে জনস্বাস্থ্য কারিগরী দফতরের পানীয় জলের কল থেকে অনবরত জল পড়ে যাচ্ছে। এ সব বিষয়ে অবশ্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের তেমন কোনও হেলদোল নেই। এ দিকে, জলপাইগুড়ি পুরসভা এলাকার বিভিন্ন ওয়ার্ডের বেশিরভাগ বাড়িতে পানীয় জল সরবরাহে সমস্যা হচ্ছে বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীদের। এই বিষয়ে পুরসভার হস্তক্ষেপের দাবিও উঠেছে। পরিস্রুত পানীয় জল সরবরাহের জন্য পুরসভার জলাধারগুলি সংস্কার করার দাবিও উঠেছে। জলপাইগুড়ি সায়েন্স অ্যান্ড নেচার ক্লাবের সম্পাদক রাজা রাউত বলেন, ‘‘ভূগর্ভস্থ জলস্তর ক্রমশই নীচে নামছে জলপাইগুড়ি জেলায়। এ ক্ষেত্রে সচেতনতা বাড়াতে আরও বেশি জোর দেওয়া জরুরি।’’ ‘সারফেস ওয়াটার ইনভেস্টিগেশন ডিভিশন’ (সুইড) সূত্রে খবর, এখনই উদ্বেগের কোনও কারণ নেই। দফতর প্রয়োজনীয় নজরদারি চালাচ্ছে। দফতরের সেন্ট্রাল ল্যাবরেটরিতে নিয়মিত জল পরীক্ষার ব্যবস্থাও রয়েছে।
আরও পড়ুন: Bimal Gurung: অমিতাভ মালিক খুনের মামলায় জামিন বিমল গুরুংয়ের
জলপাইগুড়ি পুরসভার চেয়ারম্যান পরিষদের সদস্য সন্দীপ মাহাতো বলেন, ‘‘শহরের আবাসনগুলিতে সরকারি নির্দেশিকা মেনে ভূগর্ভস্থ জল উত্তোলন করা হচ্ছে কিনা, তা খতিয়ে দেখতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলা হবে।’’