Tuesday, 17 June, 2025
17 June, 2025
Homeআন্তর্জাতিক নিউজYunus-Modi: গুরুত্ব দিলেন না মোদী, হাসিনাকে ফেরানোর দাবি

Yunus-Modi: গুরুত্ব দিলেন না মোদী, হাসিনাকে ফেরানোর দাবি

হাসিনাকে ফেরানোর বিষয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী কী বলেছেন তা নিয়ে সব মহলেই তুমুল কৌতূহল তৈরি হয়।

অনেক কম খরচে ভিডিও এডিটিং, ফটো এডিটিং, ব্যানার ডিজাইনিং, ওয়েবসাইট ডিজাইনিং এবং মার্কেটিং এর সমস্ত রকম সার্ভিস পান আমাদের থেকে। আমাদের (বঙ্গবার্তার) উদ্যোগ - BB Tech Support. যোগাযোগ - +91 9836137343.

শুক্রবার ব্যাঙ্ককে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর  সঙ্গে বৈঠকে বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ফেরানোর দাবি পেশ করেছেন। হাসিনা গত বছর ৫ অগাস্ট থেকে দিল্লিতে আছেন। বাংলাদেশ সরকার মাস চারেক আগে হাসিনার প্রত্যর্পণ চেয়ে ভারত সরকারকে চিঠি দিয়েছে।

বৈঠকে অধ্যাপক ইউনুস বাংলাদেশের অনুরোধের বিষয়ে ভারতের অবস্থান সম্পর্কে জানতে চান। ভারত সরকার বাংলাদেশের চিঠির প্রাপ্তি স্বীকার করলেও ফেরানো, না ফেরানো নিয়ে সিদ্ধান্ত জানায়নি। সব মহলেই কৌতূহল তৈরি হয়েছে, হাসিনাকে ফেরানোর প্রসঙ্গে কী বলেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। ওয়াকিবহাল মহলের খবর, আওয়ামী লিগ নেত্রীর বিরুদ্ধে ইউনুসের অভিযোগ শুনেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। জবাবে একপ্রকার যাবতীয় জল্পনায় জল ঢেলে দিয়েছেন। হাসিনাকে নিয়ে ইউনুসের বক্তব্যের প্রেক্ষিতে কী বলেছেন মোদী?

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উই্ং জানিয়েছে, ইউনুস ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে বলেছেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী হাসিনা বিভিন্ন গণমাধ্যমে উস্কানিমূলক মন্তব্য করেছেন। বাংলাদেশের পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছেন, যা ভারত সরকারের তাঁর প্রতি প্রদত্ত আতিথেয়তার অপব্যবহার বলে মনে হয়।

আরও পড়ুন: আজ অষ্টমী, অন্নপূর্ণা পুজো; বাড়ি-গাড়ি কেনার সুযোগ এই চার রাশির

প্রধান উপদেষ্টার অফিস আরও জানিয়েছে, ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে ইউনুস বলেছেন, হাসিনা বাংলাদেশ সরকারের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বিরুদ্ধে নিয়মিত মিথ্যা এবং উস্কানিমূলক অভিযোগ করেছেন। আমরা ভারত সরকারের কাছে অনুরোধ জানাই যে, তিনি যেন আপনার দেশে অবস্থানকালে এই ধরনের প্ররোচণামূলক মন্তব্য করতে না পারেন, তার জন্য উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক।’

ইউনুস বাংলাদেশে ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমনে হাসিনা সরকারের দমন পীড়নের বিষয়েও মোদীকে অবহিত করেন। তিনি রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার কমিশনের (OHCHR) রিপোর্টের উল্লেখ করে ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে বলেন, গত বছর ১৫ জুলাই থেকে ৫ অগাস্ট পর্যন্ত নিরাপত্তা বাহিনী এবং আওয়ামী লীগের সশস্ত্র কর্মীদের দ্বারা গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং নির্যাতনের ঘটনা ঘটে। যদিও মানবাধিকার কমিশন গত বছরের ১৫ অগাস্ট পর্যন্ত সংঘঠিত সন্ত্রাস নিয়ে রিপোর্ট দেয়।

আরও পড়ুন: মেলালেন হাত, মুখে হাসি! ব্যাঙ্ককে বৈঠক মোদী-ইউনূসের

মোদীকে বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা জানান, প্রায় ১,৪০০ মানুষ নিহত হয়েছেন। নিহতদের প্রায় ১৩ শতাংশ শিশু। ইউনুস ভারতের প্রধানমন্ত্রীর কাছে নালিশ করেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী নিজেই নিরাপত্তা বাহিনীকে প্রতিবাদকারীদের হত্যার নির্দেশ দিয়েছিলেন। ওয়াকিবহাল মহল মনে করছে, ইউনুস রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার কমিশনের রিপোর্টের উল্লেখ করে মোদীকে বোঝাতে চেয়েছেন ভারত যে শেখ হাসিনাকে আশ্রয় দিয়েছে তিনি মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত।

হাসিনাকে ফেরানোর বিষয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী কী বলেছেন তা নিয়ে সব মহলেই তুমুল কৌতূহল তৈরি হয়। বাংলাদেশ সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংই জানিয়েছে, ভারতের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মন্তব্যের জন্য সোশ্যাল মিডিয়াকে দায়ী করেছেন। তিনি বলেছেন, ভারতের সম্পর্ক বাংলাদেশের সঙ্গে। কোনও গোষ্ঠী বা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে নয়।

বৈঠকের পরে ভারতের বিদেশ সচিব বিক্রম মিস্রিকে হাসিনার প্রত্যর্পণের দাবির বিষয়ে জানতে চাওয়া হয়েছিল। তিনি বিষয়টিকে লঘু করে দিয়ে বলেন, হ্যাঁ কথা হয়েছে। তবে এই ব্যাপারে আমাদের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র এতদিন যা বলেছেন তার অতিরিক্ত আমার কিছু বলার নেই। প্রসঙ্গত, বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল ক’দিন আগেও বলেছেন, বাংলাদেশ শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণ চেয়ে চিঠি দিয়েছে। এর বাইরে আমাদের কিছু জানানোর নেই।

বৈঠকে ইউনুস মোদীকে বলেছেন, ‘বাংলাদেশ ভারতের সঙ্গে সম্পর্ককে গভীরভাবে মূল্যায়ন করে। দুই দেশের মধ্যে গভীর বন্ধুত্ব ঐতিহাসিকভাবে একে অপরের ইতিহাস, ভৌগলিক নিকট্য এবং সাংস্কৃতিক সম্পর্কের উপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে। ১৯৭১ সালে আমাদের সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং সময়ে ভারত সরকার এবং জনগণের অটুট সমর্থনের জন্য আমরা চিরকাল কৃতজ্ঞ।’

ইউনুস বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা হওয়ার পর শুক্রবারই প্রথম ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর মুখোমুখি বৈঠক হল। ভারতের প্রধানমন্ত্রী বলেন, দিল্লি সর্বদা ঢাকার সঙ্গে সম্পর্ককে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়েছে। তিনি বলেন, দুই প্রতিবেশী দেশের ইতিহাস একে অপরের সঙ্গে গভীরভাবে সম্পর্কিত, যা বাংলাদেশ জন্মের সঙ্গে যুক্ত।

এই মুহূর্তে

আরও পড়ুন