পুলিশের হাত থেকে বাঁচতে এবার বিজেপি-র আইনজীবীর দ্বারস্থ হয়েছেন বীরভূমের একদা ‘তাজা নেতা’ অনুব্রত মণ্ডল। অনুব্রতর হয়ে ময়দানে এবার বিজেপির আইনজীবী বিপত্তারণ ভট্টাচার্য। বিজেপির বোলপুর সাংগঠনিক জেলার লিগ্যাল সেলের নেতা তিনি। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এটা বীরভূমের রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ টুইস্ট।
তৃণমূলের অন্দরে এতজন বর্ষীয়ান আইনজীবী রয়েছেন, তা সত্ত্বেও অনুব্রত দ্বারস্থ হলেন বিজেপি আইনজীবীর। বিপত্তারণ ভট্টাচার্য এলাকার সক্রিয় বিজেপি নেতা। গত লোকসভা নির্বাচনে তাঁকে বীরভূমের মাটিতে দাপিয়ে প্রচার করতেও দেখা গিয়েছিল। দলের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপেও নাম জ্বলজ্বল করছে।
আরও পড়ুন: বামের পরামর্শে রাম; বিজেপির একাধিক গুরুদায়িত্বে প্রাক্তন বামনেতারা
প্রশ্ন উঠছে, দলের কোনও আইনজীবী কেন অনুব্রতর পাশে নেই? বিজেপির আইনজীবী কোন স্বার্থে অনুব্রতকে বাঁচানোর চেষ্টা করছেন? রাজনৈতিক মতাদর্শ ও পেশা সম্পূর্ণ দুটো ভিন্ন সেক্টর। একে অপরের সঙ্গে গুলিয়ে ফেলা কখনই কাম্য নয়। কিন্তু রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, যেহেতু জায়গাটা বীরভূম, যেখানকার স্থানীয় রাজনীতি বাংলার ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ! সেখানে অনুব্রতর পাশে বিজেপির আইনজীবীর দাঁড়ানোটা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।
আরও পড়ুন: ‘উন্নয়ন কাকে বলে দেখে যান’! নিজের এলাকাতেই ক্ষোভের মুখে উন্নয়ন মন্ত্রী উদয়ন
বঙ্গবার্তা যোগাযোগ করেছিল বিপত্তারণ ভট্টাচার্যের সঙ্গে। তিনি বলেন, “আমি এখন এই বিষয় নিয়ে কোনও কথা বলতে চাই না।” বলেই তিনি ফোন কেটে দেন।
কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, বিপত্তারণ ভট্টাচার্য কি এখনও বিজেপি-তে রয়েছেন? এই নিয়ে রীতিমতো ‘ধরি মাছ না ছুঁই পানি’ অবস্থা বোলপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি শ্যামাপ্রসাদ মণ্ডল বলেন, “বিষয়টা শুনেছি। আমরা ৯ তারিখের পর এই নিয়ে বিপত্তারণ ভট্টাচার্যের সঙ্গে কথা বলব।” উল্লেখ্য, ৯ তারিখ সভা রয়েছে শুভেন্দু অধিকারীর। তারপরই বিতত্তারণের রাজনৈতিক অবস্থান স্পষ্ট জানা যাবে।