‘বিপ্লব’ আসতে চলেছে দেশের প্রযুক্তিজগতে। ভারতে স্যাটেলাইট পরিষেবা শুরু করতে শিগগিরি সবুজ সংকেত পেতে চলেছে এলন মাস্কের ‘স্টারলিঙ্ক’। এই মাসের মাঝামাঝিই লাইসেন্স পেয়ে যেতে পারে তারা। এমনটাই দাবি এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের।
আরও পড়ুন: রাজ্য বিধানসভার নামে ফেসবুক পেজ! খুলল কে! শুরু তদন্ত
গত তিন বছরেরও বেশি সময় ধরে এই লাইসেন্স পাওয়ার আবেদন করে চলেছে স্টারলিঙ্ক। এবার তারা টেলিকম দপ্তরের নয়া নিয়মে রাজি হতেই উজ্জ্বল হয়ে গিয়েছে অনুমোদনের সম্ভাবনা। তবে লাইসেন্স পেলেই হবে না। এরপরও বাকি থাকবে আরও এক সবুজ সংকেত। ‘ন্যাশনাল স্পেস প্রোমোশন অ্যান্ড অথোরাইজেশন সেন্টার’ যদি অনুমতি দিয়ে দেয় তাহলেই চূড়ান্ত সম্মতি পেয়ে যাবে তারা। তবে এর পাশাপাশি জানা গিয়েছে, এককালীন ১ কোটি ৬০ লক্ষ টাকা দিতে হবে স্টারলিঙ্ককে। এবং এটি ফেরতযোগ্যও নয়। এদিকে জানা যাচ্ছে, স্টারলিঙ্কের তরফে দেওয়া কোনও তথ্য বিভ্রান্তিকর প্রমাণিত হলে যে কোনও সময়ে লাইসেন্স বাতিল করা হতে পারে।
প্রসঙ্গত, ২০২২ সালে মাস্কের সংস্থা ভারতে ইন্টারনেট পরিষেবা শুরুর তোড়জোড় শুরু করে। পরবর্তীতে কেন্দ্রের তরফে একটি বয়ানে বলা হয়, এখনও পর্যন্ত স্টারলিঙ্ক ভারতে পরিষেবা দেওয়ার লাইসেন্স পায়নি। তবে অবশেষে মিলতে চলেছে সুখবর।
কীভাবে কাজ করে স্টারলিঙ্ক? লোয়ার অরবিটে থাকা স্যাটেলাইটের মাধ্যমে ইন্টারনেট পরিষেবা দেয় এলন মাস্কের স্টারলিঙ্ক। এক্ষেত্রে টাওয়ারের কোনও বিষয় থাকে না। যার ফলে দুর্গম পাহাড়ি এলাকাতেও নেটওয়ার্কের কোনও সমস্যা হয় না।
আরও পড়ুন: ‘লাল সন্ত্রাস’ দমনে ফের বড়সড় সাফল্য; নিকেশ মাওবাদী কমান্ডার সুধাকর
গত মার্চ মাসেই জানা যায়, স্টারলিঙ্কের স্যাটেলাইট ইন্টারনেট পরিষেবা এদেশে দেওয়ার জন্য ইতিমধ্যেই স্পেসএক্স-এর সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধেছে ভারতী এয়ারটেল। চুক্তি হয়েছে দুই সংস্থার। এয়ারটেলের তরফে একটি বিজ্ঞপ্তি পেশ করে বলা হয়, এবার স্পেসএক্স ও এয়ারটেল একযোগে কাজ করবে। সম্ভবত এয়ারটেলই স্টারলিঙ্কের যন্ত্রপাতি বিক্রি করবে। এবং স্টারলিঙ্কের পরিষেবাও তারাই এদেশে বিক্রি করবে।