কুশল দাশগুপ্ত, শিলিগুড়ি:
সম্প্রতি মণীন্দ্র বর্মন নামে এক ব্যাক্তি হলদিবাড়ি থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তিনি জানান তাঁর ছাগল চুরি গিয়েছে। তবে ‘চোরে’র আদব-কায়দার কথা শুনে চমকে যায় পুলিশ। অভিযোগপত্রে লেখার পাশাপাশি সিসিটিভি ফুটেজও দেন ওই ব্যক্তি।
অভিযোগপত্রে লেখা, ‘চোর’ আসে দামি গাড়িতে চেপে। বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায় ছাগল। একটি আর্টিগা গাড়িতে চেপে অভিযুক্তরা ছাগল চুরি করে বলেই অভিযোগে জানান ওই ব্যক্তি। তদন্ত করতে নেমে পুলিশ জানতে পারে, বিষয়টা সত্যি। একটি জায়গায় নয়, ঘুরে ঘুরে জলপাইগুড়ির একাধিক জায়গায় ছাগল চুরি করে সে।
আরও পড়ুন: কৃষ্ণা তৃতীয়ায় সারাদিন ইন্দ্র যোগ, বাড়ি-গাড়ি কেনার সুযোগ এই চার রাশির
মক্সেদুল রহমান নামে জলপাইগুড়ির এক যুবকের বিরুদ্ধে ওই ছাগল চুরির অভিযোগ দায়ের হয়। ছাগল চুরি নিয়ে এলাকার বাসিন্দাদের সতর্ক করে ফেসবুকে একটি পোস্টও করেন অভিযোগকারী। অভিযোগ পেয়ে নড়েচড়ে বসে পুলিশ। শুরু হয় তদন্ত।
ছাগল চুরির তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে মক্সেদুল ইসলাম ইতিমধ্যে ছাগল চুরির অভিযোগে জলপাইগুড়ি কোতোয়ালি থানার পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়ে জেলখানায় রয়েছে। পুলিশ আরও জানতে পারে রাকেশ রহমান নামে আরও এক যুবকও ছাগল চুরির অভিযোগে জেলে রয়েছে। এরপর এদের জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার অপেক্ষা করতে থাকে হলদিবাড়ি থানার পুলিশ।
জেল থেকে ছাড়া পাওয়া মাত্রই জেল গেটের সামনে থেকে ওই দুজনকে ফের গ্রেফতার করে হলদিবাড়ি থানার পুলিশ। এরপর মেখলিগঞ্জ মহকুমা আদালতে তুলে হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানালে বিচারক ২ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন। হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে পুলিশ। উঠে আসে আরও এক অভিযুক্তের নাম। জলপাইগুড়িতে তার বাড়িতেও অভিযান চালায় হলদিবাড়ি থানার পুলিশ
আরও পড়ুন: বিশ্ব জুড়ে ব্যাহত বিমান পরিষেবা, বিপাকে এয়ার ইন্ডিয়াও
এদিকে তদন্তে নেমে চুরিতে ব্যাবহৃত বিলাসবহুল আর্টিগা গাড়িটি উদ্ধার করে পুলিশ। শুক্রবার আদালতে নিয়ে যাওয়ার পথে মক্সেদুল বলে যে সে নির্দোষ। তাকে সরিফুল ফাঁসিয়ে দিয়েছে বলে দাবি করে। তারা গাড়িটি ভাড়া করেছিল। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সন্দীপ গড়াই জানিয়েছেন জেরার মুখে ধৃতেরা স্বীকার করেছে যে একাধিক জায়গা থেকে ছাগল চুরি করা হয়েছে। এর পিছনে আরও কেউ জড়িত আছে কি না, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।