রুমকী কুণ্ড, কলকাতা:
ছেলেমেয়েরা পড়বে, তাঁরা আরও এগিয়ে যাবে, বাংলার ভবিষ্যত আরও উজ্জ্বল হবে। এই উদ্দেশ্যে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার একাদশ-দ্বাদশের পড়ুয়াদের ট্যাব দিয়ে থাকে। কিন্তু অভাবের তাড়নায় সেই ট্যাব পেয়েও বিক্রি করতে হয়েছিল হিঙ্গলগঞ্জের বাঁশতলার বাসিন্দা বিদিশা বরকে। ট্যাব বিক্রি করেছেন ঠিকই, কিন্তু নিজের স্বপ্ন বিক্রি করেননি। অভাবের কাছে মাথা নত করেননি। আর তাই হয়ত আজ তাঁর এই সাফল্য। নিট (NEET) পরীক্ষায় ৪২ হাজার র্যাঙ্ক করেছে বাংলার এই মেয়ে। এবার শুধু অপেক্ষা সুপ্রতিষ্ঠিত ডাক্তার হওয়ার।
আরও পড়ুন: মুখ থুবড়ে পড়ল Reliance Jio! উড়ে গেল Network
আৰু আর ন্দরবনের প্রত্যন্ত এলাকা হিঙ্গলগঞ্জের বাসিন্দা বিদিশা। এই কন্যার বাবা রিক্সাচালক। মেয়ের চোখ জুড়ে শুধুই ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন। কিন্তু বাধা একটাই, তা হল অর্থ। চিকিৎসক হওয়া তো মুখের কথা নয়। এত টাকা পাবে কীভাবে? ভাল স্কুল,পড়াশোনার পরিবেশ বলতে যা বোঝায় বিদিশার ত্রিসীমানায় কিছু ছিল না। ছিল না কোনও কোটা বা নামী পেশাদার কোচিংয়ের সুবিধা। অভাব এতটাই বেশি ছিল সরকারি ট্যাব কোভিডের সময় বিক্রি করে দিতে বাধ্য হয়েছিল বিদিশা।
আরও পড়ুন: ডিজিটাল জনগণনার দিনক্ষণ ঘোষণা কেন্দ্রের
এরপর হয়ত ঘোরে ভাগ্যের চাকা। সহৃদয় এক শিক্ষক বিদিশার ডাক্তার হওয়ার স্বপ্নপূরণে তাঁর হাতে তুলে দেন স্মার্টফোন। ইউটিউবের ভিডিয়ো দেখে নিট জয়ের মন্ত্র আত্মস্ত করে মেয়েটা। ইন্টারনেটের ‘জানলা’ দিয়ে নিট পরীক্ষায় জয়মন্ত্র হাসিল করে নিতে অসুবিধা হয়নি সুন্দরবনের এই মেয়ের। ইচ্ছা-পরিশ্রম-জেদ থাকলে সব বাধা যে পেরিয়ে যাওয়া যায় তা দেখিয়ে দিলেন বিদিশা।