ঘরেই চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। ইরানের পরমাণু বোমা তৈরির যাবতীয় প্রকল্প ধ্বংস করেছে মার্কিন সেনা, দাবি করেছন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। প্রেসিডেন্টের এই ঘোষণার পর তাঁকে একটি গোপন রিপোর্ট দিয়েছে মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের গোয়েন্দা শাখা ডিফেন্ট ইন্টেলিজেন্স এজেন্সি।
সেই রিপোর্ট ফাঁস করেছে দুটি মার্কিন সংবাদ মাধ্যম সিএনএন এবং নিউ ইয়র্ক টাইমস। তাতে বলা ডিআইএ বলেছে, ইরানের পরমাণ ঘাঁটি অক্ষত। মার্কিন হামলায় প্রকল্পের কাজ কয়েক মাস পিছিয়ে গেছে মাত্র।
আরও পড়ুন: হাতে দু’দিন! ঋণ দিয়েছে RBI, ৪ হাজার কোটি; মিলবে তো বকেয়া ডিএ!
এই রিপোর্ট ফাঁস হতে বেজায় চটেছেন ট্রাম্প। নিজের সামাজিক মাধ্যম ট্রুথ স্পেশ্যালের পোস্টে ট্রাম্প বেজায় গালমন্দ করেছেন সিএনএন এবং নিউ ইয়র্ক টাইমসের। তাঁর বক্তব্য, ওরা ফেক নিউজ ছড়াচ্ছে। অপমান করছে সাহসী মারর্কিন পাইলটদের। যারা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ইরানে হামলা চালিয়ে পরমাণু প্রকল্প ধ্বংস করে দিয়ে এসেছে।
তাৎপর্যপূর্ণ হল স্বয়ং প্রেসিডেন্ট প্রকাশ্যে ক্ষোভ উগড়ে দিলেও ডিআইএ নীরব। তারা ট্রাম্পের সুরে বলছে না সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর ফেক। এই পরিস্থিতিতে ট্রাম্পের হয়ে ব্যাট ধরেছেন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভান্স। তিনি পাল্টা বক্তব্য তুলে ধরতে ফক্স নিউজকে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন। তাতে তিনি দাবি করেন, ইরানের তিন শহরে পরমাণ প্রকল্প পুরোপুরি ধ্বংস করে দিয়েছে মার্কিন যুদ্ধ বিমান। ইরানের থেকে এখন পরমাণু হামলার আশঙ্কা দূর হয়েছে।
আরও পড়ুন: বাঘাযতীনে ‘বেপরোয়া’ লরির চাকায় পিষ্ট বাইক আরোহী, পুলিশি-ভূমিকায় প্রশ্ন
চারদিন আগে এমন দাবিই করেছিলেন ট্রাম্প। সেই দাবি খোদ মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের গোয়েন্দা সংস্থা খারিজ করেছে বলে জানাজানি হতে হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লিভিত সাংবাদিক বৈঠক ডেকে জানান, সিএনএন এবং নিউ ইয়র্ক টাইমসের খবর পুরোপুরি ভিত্তিহীন। কিন্তু প্রতিরক্ষা মন্ত্রক কেন মুখ খুলছে না তার জবাব মেলেনি হোয়াইট হাউসের মুখপাত্রের মুখ থেকে।
প্রসঙ্গত, ইরানে হামলার আগেই ঘরে প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছিল ট্রাম্পকে। মার্কিন জাতীয় গোয়েন্দা প্রধান তুলসি গ্যাবার্ড প্রেসিডেন্টকে এক রিপোর্টে জানান, ইরান পরমাণ অস্ত্র তৈরিতে অনেক দূর অগ্রসর হয়েছে এমন কোনও খবর কোনও মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থার কাছে নেই। সেই রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর তুলসিকে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে ডাকাই বন্ধ করে দিয়েছেন ট্রাম্প। তুলসির সেই রিপোর্টের খবরও মার্কিন সংবাদমাধ্যমে ফাঁস হয়ে গেলে ক্ষিপ্ত ট্রাম্প প্রকাশ্যে মন্তব্য করেন কে কী বলল তাতে আমার কিছু যায় আসে না। আমি জানি ইরান ভয়ঙ্কর অস্ত্র তৈরি করছে।