কালীগঞ্জ উপনির্বাচনে তারা কংগ্রেস প্রার্থীকে সমর্থন জানিয়েছিল। একুশের নির্বাচনের চেয়ে উপনির্বাচনে কংগ্রেস প্রার্থী বেশি ভোটও পেয়েছেন। তারপরও নদিয়ার জেলা সিপিএম নেতৃত্ব বলছে, প্রার্থী বাছাই নিয়ে দলের জেলার নেতাদের ক্ষোভ ছিল। তাই, সবাইকে কংগ্রেস প্রার্থীর হয়ে প্রচারে নামানো যায়নি। আলিমুদ্দিন স্ট্রিটে সিপিএমের ২ দিনের রাজ্য কমিটির বৈঠকেই একথা উঠে এসেছে।
আরও পড়ুন: ‘১০০% কমিউনিস্ট পাগল’, সম্ভাব্য মেয়রকে আক্রমণ ট্রাম্পের
একুশের নির্বাচনে বাম ও আইএসএফের সমর্থনে এই আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিল কংগ্রেস। ২৫ হাজার ৭৬টি ভোট পেয়েছিলেন কংগ্রেস প্রার্থী আবুল কাশেম। প্রদত্ত ভোটের ১২ শতাংশ তিনি পেয়েছিলেন। বছর চারেক পর উপনির্বাচনেও কংগ্রেসকে সমর্থন করার সিদ্ধান্ত নেয় বামেরা। কংগ্রেস প্রার্থী কাবিলউদ্দিন শেখ উপনির্বাচনে ২৮ হাজার ৩৪৮টি ভোট পেয়েছেন। যা প্রদত্ত ভোটের ১৫.২১ শতাংশ। অর্থাৎ একুশের নির্বাচনের চেয়ে বেশি ভোট পেয়েছেন কংগ্রেস প্রার্থী।
তারপরও কংগ্রেস প্রার্থীর প্রাপ্ত ভোট নিয়ে সিপিএমের অন্দরেই প্রশ্ন উঠছে। মঙ্গল ও বুধবার আলিমুদ্দিন স্ট্রিটে সিপিএমের ২ দিনের রাজ্য কমিটির বৈঠক হয়। সেই বৈঠকে কালীগঞ্জ বিধানসভার উপনির্বাচনের ফল নিয়ে আলোচনা হয়। সেখানেই জেলা সিপিএমের নেতারা জানান, প্রার্থী নিয়ে দলের নেতাদের একাংশের ক্ষোভ ছিল। তাই সবাইকে ভোটের কাজে নামানো যায়। একুশের নির্বাচনের চেয়ে উপনির্বাচনে ভোট বাড়া নিয়ে সিপিএম নেতৃত্বের বক্তব্য, ভোট বেড়েছে কিন্তু, তা সন্তোষজনক নয়।
আরও পড়ুন: ভোল বদল সিপিএমের! হঠাৎ এই সিদ্ধান্ত! আলিমুদ্দিন স্ট্রিটে তন্ময়
কালীগঞ্জের উপনির্বাচনে জয়ী হয়েছেন তৃণমূল প্রার্থী আলিফা আহমেদ। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে বিজেপি। আর কয়েকমাস পরই রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। রাজনীতির কারবারিরা বলছেন, কালীগঞ্জের এই উপনির্বাচনের ফলে স্পষ্ট যে বাংলায় এখন বিজেপি ও তৃণমূলের মধ্যেই মূল লড়াই চলছে। ছাব্বিশের ভোটে সেখানে বাম-কংগ্রেস কতটা ছাপ ফেলে, সেটাই দেখার।