তিনদিনের জেলা সম্মেলন। শেষদিন রাত ১২টা পর্যন্ত সেই সম্মেলন চলল। তারপরও উত্তর ২৪ পরগনায় সিপিএমের জেলা কমিটি গঠন হল না। সামনে এল সিপিএমের উত্তর ২৪ পরগনা জেলা কমিটি গঠনকে ঘিরে গোষ্ঠী কোন্দল। শেষ পর্যন্ত সুজন চক্রবর্তী ও শ্রীদীপ ভট্টাচার্য জানিয়ে দেন, আগামী রবিবার সিপিএমের উত্তর ২৪ পরগনা জেলা কমিটির অফিসে ভোট হবে।
শুক্রবার থেকে রবিবার পর্যন্ত বারাসতের রবীন্দ্র ভবনে অনুষ্ঠিত হয় উত্তর ২৪ পরগনা জেলা সিপিআইএমের সম্মেলন। প্রথম দিন থেকেই সম্মেলন উত্তপ্ত ছিল। জেলা সম্পাদক মৃণাল চক্রবর্তীকে বদলের দাবি ওঠে। আইএসএফের সঙ্গে আসন সমঝোতা নিয়েও সরব হন প্রতিনিধিরা। রাজ্য নেতৃত্বের ভূমিকা নিয়েও রীতিমতো আক্রমণাত্মক ছিলেন বেশ কয়েকজন।
আরও পড়ুন: Tripura: স্বদলবলে বিজেপি কাঞ্চনপুর মন্ডল সম্পাদক যোগ দিলেন কংগ্রেসে
সম্মেলনের শেষ দিন দলীয় নেতৃত্ব জেলা কমিটির ৭৪ জনের নামের প্যানেল পেশ করেন। তারপরই বিভিন্ন এরিয়া কমিটি থেকে আপত্তি ওঠে। আরও বিকল্প ২৭ জনের নাম প্রস্তাব করা হয়। এরপরই আসরে নামেন মানস মুখোপাধ্যায়। সমস্ত চেষ্টা ব্যর্থ হওয়ার পর তিনি ঘোষণা করেন এইভাবে ভোটাভুটির মধ্যে তিনি থাকতে চান না। তার নাম প্যানেল থেকে প্রত্যাহার করে নেন। মানস মুখোপাধ্যায় সরে দাঁড়ানোয় পরিস্থিতি ঘুরতে শুরু করে। যাঁরা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চেয়েছিলেন, তাঁরা নাম প্রত্যাহার করতে শুরু করেন। ২৫ জন নাম প্রত্যাহার করেন।
কিন্তু, মধ্যমগ্রাম এবং বিধাননগর এলাকার দুই জন প্রতিনিধি নাম প্রত্যাহার করতে নিমরাজি হন। ফলে তীরে এসে তরী ডোবার মতো শেষ মুহূর্তে ভোটাভুটি প্রক্রিয়া এড়াতে পারল না সিপিএম। ঠিক হয়েছে আগামী রবিবার ভোট হবে। তবে এই সময়ের মধ্যে ওই ২ জন নির্বাচন প্রক্রিয়া থেকে সরে দাঁড়ালে সেক্ষেত্রে ভোট নাও হতে পারে। কিন্তু সম্মেলন মঞ্চে নাম দেওয়ার পর তা পরে প্রত্যাহার করা যায় কি না তা নিয়ে সংশয় আছে। রাত বারোটা নাগাদ সম্মেলন শেষ হয়েছে। মাত্র দুজনের জন্য এখন ভোটের প্রস্তুতি।
আরও পড়ুন: Ketugram: উড়ে গেল ছাদ!কল্যাণীকাণ্ডের মধ্যেই আতঙ্ক কেতুগ্রামে
সিপিআইএমের সব জেলা সম্মেলন শেষ হয়েছে। বাকি ছিল উত্তর ২৪ পরগনা। কয়েকটি জেলায় ভোটাভুটির পরিস্থিতির আগাম আঁচ করে বারবার করে বৈঠক, আলোচনা করে তা এড়িয়েছিলেন আলিমুদ্দিন স্ট্রিটের ম্যানেজাররা। কোথাও কোথাও ‘ব্যতিক্রমী’ সিদ্ধান্ত নিয়েও পরিস্থিতি সামাল দিয়েছিলেন তাঁরা। কিন্তু উত্তর ২৪ পরগনায় তা আর হল না। ভোটাভুটি করতেই হচ্ছে।