কুশল দাশগুপ্ত:
বাড়ছে বাংলাদেশের দুস্কৃতিদের অত্যাচার আজকে এই নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় কেন্দ্রীয় সরকার ও সীমান্ত রক্ষীবাহিনীর বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী উদয়ন গুহ। শুক্রবার তিনি তাঁর পোস্টে লেখেন, ‘কাঁটাতারের বেড়ার ওপারে বসবাসকারী ভারতীয়রা হয়ে গিয়েছেন নিজভূমে পরবাসী।
আরও পড়ুন: ঢাকার দিকে সেনাবাহিনীর গাড়ি, গদি উলটোচ্ছে ইউনূসের?
অথচ বাংলাদেশ যখন নিজের সীমানায় বেড়া দিল না তখন যদি ভারত সরকার ১৫০ গজ ভিতরে বেড়া না দিয়ে, সীমান্তের জিরো পয়েন্টে বেড়া দিত তাহলে কাঁটাতারের বেড়ার গেটও লাগত না, পাচারও হত না। সীমান্তের ভারতীয়দের এই নরকযন্ত্রণা সহ্য করতে হত না।’ তাঁর আরও সংযোজন, ‘বাংলাদেশের সমাজবিরোধীরা এসে কাঁটাতারের বেড়ার ওপারে ভারতীয়দের জমির ফসল, পাম্পসেট নির্বিচারে লুঠ করে নিয়ে যাচ্ছে। অজ্ঞাত কারণে বিএসএফকেও সেইভাবে সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে দেখা যাচ্ছে না। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, কাঁটাতারের ওই পাড়ে বাংলাদেশি দুষ্কৃতীদের অত্যাচার দীর্ঘদিনের। জমির ফসল চুরি যাওয়ার ঘটনাও হামেশাই ঘটে। গত ২১ মার্চ শালমারার নোটাফেলা এলাকায় ইন্দো-বাংলাদেশ সীমান্তের ১৫ নম্বর গেট লাগোয়া এলাকায় আলু তোলার ঘটনাকে নিয়ে ভারতীয় চাষি ও বাংলাদেশিদের মধ্যে বিরোধ বাধে। বাংলাদেশি দুষ্কৃতীরা কান্দুরা বর্মন নামে এক চাষিকে তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে।
আরও পড়ুন: নাশপাতি ৩৫০, বেদানা ২২০, ফলে হাত ঠেকানোই দায়, কলকাতার বাজারে
দিনের আলোয় ভারতীয় কৃষকদের দুটি পাম্পসেট পুড়িয়ে দেওয়া হয়। দুটি পাম্পসেট তুলেও নিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। এরপরই উত্তেজনা ছড়ায় সীমান্তে। নোটাফেলা এলাকায় কাঁটাতারের ওপারের কৃষক সন্তোষ সরকারের কথায়, ‘কাঁটাতারের বেড়ার ওপারের জমিতে ধান চাষ করেছি। সেই এলাকার দুটি পাম্পসেট পুড়িয়ে দেওয়ার পাশাপাশি দুটি পাম্পসেট তুলে নিয়ে গেছে দুষ্কৃতীরা। এভাবে চললে চাষ করাই মুশকিল।’ স্থানীয় তৃণমূল নেতা মদন বর্মনের কথায়, ‘প্রতিদিনই কাঁটাতারের ওপারে এই কাজ চলেছে।
