বাসের জানলার বাইরে হাত বের করে বসেছিলেন দুই যাত্রী। আচমকাই ওই বাসের গা ঘষে চলে যায় অন্য একটি বাস। তার জেরে এক যাত্রীর হাত কনুই থেকে কেটে পড়ে রাস্তায়। অন্য যাত্রীর হাত কনুই থেকে ঝুলে পড়ে। বুধবার শিউরে ওঠার মতো এই দুর্ঘটনা ঘটে নদিয়ার চাপড়া থানার সীমানগর বিএসএফ ক্যাম্পের কাছে।
আরও পড়ুন: প্লাস্টিকে আধপোড়া কাটা হাত! নামল ফরেন্সিক-হোমিসাইড
ঘটনায় আহত দুই যাত্রীর নাম অসিত দাস (৫০) ও সনাতন হালদার (৬০)। প্রথম জন পেশায় ঘটক, অন্য জন মাছ ব্যবসায়ী। স্থানীয় সূত্রে খবর, এ দিন কৃষ্ণনগর থেকে বেসরকারি বাসে হৃদয়পুরে যাচ্ছিলেন তাঁরা। চাপড়া বাসস্ট্যান্ডে এসে দাঁড়ানোর কথা ছিল বাসটির। তার আগেই করিমপুরের দিক থেকে আসা কৃষ্ণনগরগামী একটি বাস এসে ধাক্কা মারে তাঁদের বাসে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের কথায়, ভয়ঙ্কর সেই দৃশ্য। এক ব্যক্তি প্রাণপণে চিৎকার করে চলেছেন। গলগলিয়ে রক্ত পড়ছে। হাতের অংশ কেটে মাটিতে পড়ে গিয়েছে। অন্য জনেরও অবস্থা একই রকম ভয়ঙ্কর। সেই হাত আবার ঝুলছে। দেখে সকলেই ভয় পেয়ে যান।
আরও পড়ুন: আগুনের শিখা উঠল ২০ তলা বিল্ডিং পর্যন্ত, বিস্ফোরণে ঝলসে গেল শয়ে-শয়ে মানুষ!
এর পরই কয়েক জন বাসযাত্রীর তৎপরতায় তাঁদের বাসেই কৃষ্ণনগর শক্তি নগর জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় কলকাতায় স্থানান্তরিত করা হয়। এই ঘটনায় বাসের চালককে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে চাপড়া থানার পুলিশ।
বাসে ছিলেন শিক্ষক রবিউল মণ্ডল। রোজই তিনি বাসে চাপড়ায় যান। এ দিন সীমানগর ক্যাম্পের কাছে তাঁদের বাস আসার পরই দেখেন প্রচুর মানুষের ভিড়। রবিউল জানান, ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখেন, ভয়াবহ দৃশ্য। তবে লোকজন ভিড় করলেও তাঁদের উদ্ধার করেননি কেউ, দাবি ওই শিক্ষকের। রবিউল ও তাঁর সঙ্গে থাকা অন্য শিক্ষকরাই দু’জনকে বাসেই হাসপাতালে নিয়ে যান।