খুচরো বাজারে সোনার দাম ১ লক্ষ টাকার গণ্ডি ছাড়াল। সোমবার বাজারে প্রতি ১০ গ্রাম সোনার দাম ছিল ৯৭,২০০ টাকা। এর সঙ্গে ৩ শতাংশ জিএসটি যোগ হলে খুচরো দামে তা ১,০০,০০০ টাকার সীমা অতিক্রম করে।
মঙ্গলবার মাল্টি কমোডিটি এক্সচেঞ্জ-এ জুন মাসের গোল্ড ফিউচারস রেকর্ড ছুঁয়েছে। প্রতি ১০ গ্রামের দাম ৯৯,১৭৮ টাকা। যা আগের দিনের তুলনায় প্রায় ১,৯০০ টাকা বেশি। আন্তর্জাতিক বাজারে COMEX-এ প্রতি ট্রয় আউন্সে সোনা লেনদেন হয়েছে প্রায় ৩,৩৯৫ ডলারে। অর্থাৎ দাম বাড়ছে তো বাড়ছেই ।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এই দাম বৃদ্ধির অন্যতম কারণ আমেরিকা-চিন বাণিজ্য সম্পর্কের টানাপোড়েন, মার্কিন অর্থনীতি নিয়ে উদ্বেগ এবং ডলার সূচকের পতন। এখন প্রশ্ন হল, এর পরেও কি সোনা ‘সেফ হেভেন’ অর্থাৎ নিরাপদ বিনিয়োগের পণ্য?
আরও পড়ুন: শিল্পের খরা কাটল কী পশ্চিমবঙ্গে! জঙ্গলমহলে জোড়া শিল্পস্থাপনে কর্মসংস্থানের ইঙ্গিত
এলকেপি সিকিউরিটিজের বিশ্লেষক যতীন ত্রিবেদী জানিয়েছেন, “চিন, বিভিন্ন কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক এবং প্রতিষ্ঠানগত বিনিয়োগকারীদের ক্রয়চাপ সোনার দাম বৃদ্ধিতে ভূমিকা নিচ্ছে। তবে এই পর্যায়ে ঝুঁকি ব্যবস্থাপনাও খুব জরুরি।”
মেহতা ইকুইটিজ-এর রাহুল কলান্ত্রি জানান, “ভারতীয় বাজারে সোনার সাপোর্ট রয়েছে ৯৬,৭৫০–৯৬,২০০ টাকার মধ্যে এবং রেজিস্ট্যান্স রয়েছে ৯৭,০৫০–৯৭,৬৯০ টাকার মধ্যে। সিলভারের ক্ষেত্রে সাপোর্ট ৯৪,৬৮০ টাকা এবং রেজিস্ট্যান্স ৯৭,৫৫০ টাকা।”
আরও পড়ুন: চোখ কপালে পুলিশের! ট্রলি ব্যাগে আস্ত লাশ
২০২৫ সালে এখনও পর্যন্ত প্রতি ১০ গ্রামে সোনার দাম বেড়েছে প্রায় ২০,৮০০ টাকা, অর্থাৎ প্রায় ২৬ শতাংশ। এই প্রবণতা বজায় থাকলেও, নতুন করে বিনিয়োগ করার আগে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
তাঁদের পরামর্শ, এককালীন বড় অঙ্ক না খাটিয়ে ধাপে ধাপে বা দাম কমলে বিনিয়োগ করাই যুক্তিযুক্ত। পাশাপাশি নজর রাখতে হবে আন্তর্জাতিক বাজার, বিশেষ করে ডলার সূচক ও আমেরিকা-চিন সম্পর্কের উপর।
(এই প্রতিবেদনটি তথ্যভিত্তিক এবং বিনিয়োগের পরামর্শ নয়। নিজের সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে আর্থিক পরামর্শদাতার সঙ্গে আলোচনা করুন।)