সন্ত্রাস হামলায় ফের উত্তপ্ত জম্মু ও কাশ্মীর। মঙ্গলবার সন্ত্রাসবাদীদের নাশকতার সম্মুখীন উপত্যকায় ঘুরতে যাওয়া বেশ কিছু পর্যটক। সূত্রের খবর, পহেলগাঁওয়ে ঘুরতে আসা পর্যটকের উপর হামলা চালায় এক জঙ্গি গোষ্ঠী। সন্ত্রাসবাদীদের গুলিতে আহত হয়েছেন দশ জন পর্যটক। যার মধ্যে দু’জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। ইতিমধ্যে ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়েছে সেনা ও কাশ্মীর পুলিশের একটি দল। কারা হামলা চালাল, সেই নিয়ে তদন্তে নেমেছে তারা।
আরও পড়ুন: দাম ১ লাখ ছুঁল সোনার; বিনিয়োগে সতর্ক থাকার পরামর্শ
দক্ষিণ কাশ্মীরের এই পহেলগাঁও অঞ্চল ‘মিনি সুইজ়ারল্যান্ড’ নামে পরিচিত। প্রতিবছর এখানে ভিড় জমান দেশ-দুনিয়ার নানা প্রান্ত থেকে আসা পর্যটকরা। এবার সেখানেই ছক কষে হামলা চালাল সন্ত্রাসবাদীরা। যার পর ফের একবার প্রশ্নের মুখে পড়ে গিয়েছে পুলিশ-প্রশাসন। সাধারণভাবেই, গত কয়েক মাস ধরে উপত্যকার নানা প্রান্তে চিরুনি তল্লাশি করে জঙ্গিদের খতম করে মেরেছে সেনা ও পুলিশের যৌথ বাহিনী। এবার সেই আবহেই কি তবে সেনার বিরুদ্ধে পাল্টা ‘যুদ্ধের ঘোষণা’ করল সন্ত্রাসবাদীরা?
ওয়াকিবহাল মহলের মতে, দিন কয়েকের মধ্য়ে উপত্যকা থেকে শুরু হয়ে যাবে অমরনাথ ধাম যাত্রা। এই পরিস্থিতি কাশ্মীরজুড়ে পর্যটকদের নিরাপত্তা নিয়ে বাড়তি সচেতনতা অবলম্বন করেছে পুলিশ-প্রশাসন। মঙ্গলে এই হামলার মাধ্যমে আসলে সেই সচেতনতায় যে একটা ফাঁক রয়ে গিয়েছে, এই বিষয়টা তুলে ধরে কাশ্মীর প্রশাসনের দিকে নতুন চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিল সন্ত্রাসবাদীরা।
প্রসঙ্গত, সপ্তাহ আগেই জম্মু-কাশ্মীরে নিরাপত্তাবাহিনীর সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে নিহত হয়েছে সন্ত্রাসবাদী সংগঠনের জইশ-ই-মহম্মদ গোষ্ঠীর তিন কমান্ডার। জানা যায়, গত ১২ই এপ্রিল উধমপুর ও কিস্তওয়ারে একটি অভিযান চালিয়ে জঙ্গিদমনে নামে তারা। এই সংঘর্ষে খতম হওয়া সন্ত্রাসবাদীদের তিন জনেরই মাথার দর ছিল পাঁচ লক্ষ টাকা করে। সেই ঘটনা সপ্তাহ পেরতেই এই হামলা কি নতুন ষড়যন্ত্রের হুঁশিয়ারি? প্রশ্ন তুলছেন বিশেষজ্ঞরা।