অভিযোগ হয়েছে ২৪ জনের নামে। এখনও পর্যন্ত পুলিশ ধরেছে ৪ জনকে। বাকিরা কোথায়? ফুঁসছে বিরোধীরা। সিবিআই তদন্তের দাবি তুলছে মৃত শিশুর পরিবার। ক্ষোভে ফুঁসছে গোটা গ্রাম। ঘটনার পরেই আনোয়ার শেখ, মনোয়ার শেখ, আদর শেখ এবং কালু শেখকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ধৃতদের এদিন আদালতে তোলা হলে কালু শেখ এবং মনোয়ার শেখের ৬ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। পাশাপাশি হেফাজতে না চাওয়ায় আনোয়ার শেখ ও আদর শেখের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
আরও পড়ুন: বিপদের ইঙ্গিত! চুরি গেল জগন্নাথ, বলরাম, সুভদ্রার ভেষজ ওষুধ!
ফুঁসছেন নিহত ছাত্রী তামান্না খাতুন মা। তাঁর দাবি, যাঁরা এই ঘটনা ঘটিয়েছে তাঁদের সবাইকেই তিনি চেনেন। সে কথা পুলিশকে তিনি বলেছেন। কিন্তু তারপরেও কেন ধরা যাচ্ছে না? প্রশাসনের উপর ক্ষোভ উগরে দিয়ে বলছেন, “পুলিশকে তো একশোবার বলা হয়েছে কারা ছিল। ওখানে। আমি তো চিনি সবাইকে। পুলিশ নায্য় বিচার করতে চায় না। ২৪ ঘণ্টা সময় দিয়েছে। যদি আমার না বিচার হয় তাহলে আমি যেখানে বিচার পাব সেখানে যাব। কোর্টে যাব। আমি সিবিআইয়ের কাছে যাব।”
স্থানীয় সূত্রে খবর, চাঁদঘর পঞ্চায়েতের মোলন্দা গ্রামে যে এলাকা দিয়ে তৃণমূলের বিজয় মিছিল যাচ্ছিল, সেখান থেকে ৪০ থেকে ৫০টির বেশি বোমা ছোঁড়া হয়েছিল বাম কর্মী সমর্থকদের বাড়ি লক্ষ্য করে। এমনকী যে নাবালিকার মৃত্যু হয়েছে তার কাকা সাহেব শেখকেও তাড়া করে তৃণমূল। তাঁর উপর আঘাত হানতে গিয়ে তা এসে পড়ে নাবালিকার উপর। এ ঘটনার পর আবার প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি শুভঙ্কর সরকার আবার জয়ী বিধায়কের সার্টিফিকেট বাতিল করার দাবি তুলছেন।
আরও পড়ুন: হাসি ফুটছে পরিবারে! মহিলাকে গর্ভবতী করল AI
যদিও পুলিশ বলছে ধৃতদের কাছ থেকে ইতিমধ্যেই বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গিয়েছে। তার উপর ভিত্তি করেই তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। সেই তথ্য ধরেই বাকিদের খোঁজে চলছে তল্লাশি। পুলিশ বলছে, তাঁরা এ ঘটনাকে যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়েই দেখছে। যারা অভিযুক্ত, তাঁদের দ্রুত শাস্তি নিশ্চিত করার জন্য জেলা পুলিশের তরফে স্পেশাল পিপি নিয়োগ করার ভাবনা চিন্তা করা হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গ্রামীণ উত্তম ঘোষ। বিকালে স্পেশাল পিপিকে সঙ্গে নিয়ে গ্রামের সার্বিক পরিস্থিতি ঘুরে দেখান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার। কথা বলেন নিহত ছাত্রীর পরিবারের সঙ্গেও।