মধ্য রাতে কেঁপে উঠল মণিপুর। মঙ্গলবার রাতে ( ইংরেজি মতে বুধবার) জোড়া কম্পন অনুভূত হয় মণিপুরে। রিখটার স্কেলে এই কম্পনের মাত্রা ছিল ৫.২। এই কম্পন অনুভূত হয় বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানেও। মাঝ রাতে মাটি কেঁপে ওঠা বুঝতে পেরেই আতঙ্কে বাইরে চলে আসেন অনেকেই।
ন্যাশনাল সেন্টার ফর সেসমোলজি জানিয়েছে, রাত ১টা ৫৪ মিনিট নাগাদ প্রথম কম্পন হয়। এর পরের কম্পন হয় রাত ২টো ২৬ মিনিট নাগাদ।
ন্যাশনাল সেন্টার ফর সেসমোলজির তথ্য অনুসারে, রাত ১টা ৫৪ মিনিট নাগাদ হওয়া ওই কম্পনের মাত্রা ছিল ৫.২। এই ভূমিকম্পের উৎস ছিল মণিপুরের চুড়াচাঁদপুর। মাটি থেকে ৪০ কিলোমিটার গভীরে ছিল এই ভূমিকম্পের উৎসস্থল। রাত ২টো ২৬ মিনিট নাগাদ হওয়া কম্পনের মাত্রা রিখটার স্কেলে ছিল ২.৫। এর উৎসস্থলও ছিল মণিপুরের ননে এলাকা। মাটি থেকে ২৫ কিলোমিটার নিচে এই ভূমিকম্প হয়।
এই কম্পন অনভূত হয়েছে মেঘালয়, ত্রিপুরা এবং অসমের বিভিন্ন এলাকাতেও।
পাশাপাশি, গভীররাতে বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানেও ভূকম্পন অনুভূত হয়েছে। মার্কিন ভূতাত্ত্বিক সংস্থা ইউএসজিএস জানিয়েছে, মাঝারি মানের এ ভূ-কম্পনের উৎস ছিল মণিপুরের মইয়াং এলাকা। বাংলাদেশের পাশাপাশি কম্পন অনভূত হয় মিয়ানমারেও। তবে, এর জেরে কোনও ক্ষয়ক্ষতি খবর এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন: ‘সাত বছর পর আবার পরীক্ষা দিতে হবে?’ মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণায় হতাশ শিক্ষকদের প্রশ্ন
আর এক দিকে, মঙ্গলবার রাতে ফের কেঁপে ওঠে তিব্বত। ন্যাশনাল সেন্টার ফর সেসমোলজি জানিয়েছে, রিখটার স্কেলে এই কম্পনের মাত্রা ছিল ৩.২। রাত ১০টা ১৬ নাগাদ হওয়া ওই কম্পনের উৎস ছিল মাটির ১০ কিলোমিটার গভীরে।
মঙ্গলবারই রাত ৯টা ৪২ মিনিট নাগাদ ৪.৫ মাত্রার ভূমিকম্প হয় মিয়ানমারে। এর উৎস ছিল ভূপৃষ্টের ১১৫ কিলোমিটার গভীরে। এর আগে ভারতীয় সময় বিকাল ৪টে ৫৪ মিনিট নাগাদ ৪ মাত্রার কম্পন হয় মিয়ানমারে। মঙ্গলবার সন্ধ্যা ভূমিকম্প হয় পাকিস্তানেও। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৪.২। ভারতীয় সময় সন্ধ্যা ৭টা ২০ মিনিট নাগাদ ওই ভূমিকম্প হয়।