বছর ঘুরলেই রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে কি ফের কংগ্রেসের সঙ্গে হাত মিলিয়ে নির্বাচনে লড়তে চলেছে বামেরা? কয়েকদিন পরই নদিয়ার কালীগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন। সেই উপনির্বাচনে কংগ্রেসের সঙ্গে বামেদের জোটের সম্ভাবনা ক্রমশ জোরালো হচ্ছে। শুক্রবারই তা স্পষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
আরও পড়ুন: অশ্লীলতার অপর নাম তৃণমূল! ‘চার ঘণ্টার মধ্যে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে হবে নয়তো..’; চরম বিপদে কেষ্ট!
২০১৬ এবং ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করেছিল বামেরা। চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনেও তারা জোট করেছিল। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি পদে অধীর চৌধুরী থাকাকালীন একাধিক নির্বাচনে রাজ্যে বামেদের সঙ্গে কংগ্রেসের জোট দেখা গিয়েছে। কিন্তু, গতবছর অধীরের জায়গায় শুভঙ্কর সরকার প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি হওয়ার পর সেই জোটে ফাটল দেখা যায়। গত বছরের নভেম্বরে বাংলার ৬টি বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন হয়েছিল। সেখানে বাম ও কংগ্রেসের মধ্যে জোট হয়নি। এর পরই জল্পনা ছড়ায়, তাহলে কি বাংলায় ছাব্বিশের নির্বাচনে বাম ও কংগ্রেস জোট না করার দিকেই এগোচ্ছে?
কয়েকমাসের ব্যবধানে ফের রাজ্যে নির্বাচনে বাম-কংগ্রেস জোটের জল্পনা বাড়ছে। আগামী ১৯ জুন কালীগঞ্জ বিধানসভার উপনির্বাচন। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে এই কেন্দ্রের তৃণমূল বিধায়ক নাসিরউদ্দিন আহমেদের মৃত্যু হয়। জুনে এই আসনে উপনির্বাচন। নাসিরউদ্দিনের মেয়ে আলিফা আহমেদকে প্রার্থী করেছে তৃণমূল। সেখানেই বাম ও কংগ্রেসের জোটের সম্ভাবনা জোরালো হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ‘অনুমাধব খিস্তি, পুলিশ বড় মিষ্টি’! বোলপুরের IC-কে ‘হুমকি’ বিতর্কের আবহেই কবিতা রুদ্রনীলের
দীর্ঘদিন কালীগঞ্জ আসনটি কংগ্রেসের দখলে ছিল। ২০১৬ এবং ২০২১ সালে বাম-কংগ্রেস জোটের সময় এই আসনে প্রার্থী দিয়েছিল হাত শিবির। একুশের নির্বাচনে বাম সমর্থিত কংগ্রেসের প্রার্থী হেরে যান। কিন্তু, ২০১৬ সালের নির্বাচনে বামেদের সমর্থনে কংগ্রেস প্রার্থী শেখ হাসানুজ্জামান জিতেছিলেন। এবার এই আসনে উপনির্বাচনে কংগ্রেসের প্রার্থীকে সমর্থন জানাতে পারে বামেরা। বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসুর নেতৃত্বে এদিন বামেদের বৈঠক রয়েছে। সেখানে কালীগঞ্জে উপনির্বাচন নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা। সেখানেই স্পষ্ট হবে, বামেরা কংগ্রেসকে সমর্থন করছে কি না। সূত্রের খবর, ২০২৬ সালের কথা মাথায় রেখেই কংগ্রেসকে সমর্থনের সিদ্ধান্ত দিতে চলেছে বামেরা। তার ফলে একদিকে বামেদের অন্দরে ওই আসন ঘিরে যে দাবিদারের লড়াই শুরু হয়েছিল সিপিআইএম ও আরএসপির মধ্যে, তা কাটানো যাবে। আবার বৃহত্তর স্বার্থে বামেরা জোটে কতটা আগ্রহী, সেই বার্তাও কংগ্রেসকে দেওয়া যাবে।