সাহেব দাস, তারকেশ্বর:
যাঁর হাত ধরে অনেকে ফিরেছিলেন মৃত্যুর মুখ থেকে, সেই মানুষটি হারিয়ে গেলেন গঙ্গায়। শনিবার সকালে স্নান করতে নামার পর আর খোঁজ মিলছে না চুঁচুড়ার বড়বাজারের বাসিন্দা সুরেন্দর সাহানির (৫০)।
আরও পড়ুন: ফিরহাদের নিশানায় মোদী! রেড রোডেই ইদের নামাজ
সুরেন্দর ছিলেন এলাকার পরিচিত মুখ। দুর্দান্ত সাঁতার কাটতেন গঙ্গায়। বহুবার ডুবে যাওয়া মানুষকে টেনে তুলেছেন। বাঁচিয়ে দিয়েছেন প্রাণ। কিন্তু এদিন সেই গঙ্গাতেই হারিয়ে গেলেন তিনি। প্রতিদিন নিয়ম করে সকাল সকাল স্থানীয় মাঠে দৌড়তে যেতেন। এরপর পুরনো লঞ্চঘাটে গঙ্গায় স্নান করতেন সুরেন্দর। শনিবারও অন্য দিনের মতোই দৌড়তে গিয়েছিলেন, তারপর গঙ্গায় নেমেছিলেন স্নানের জন্য। তারপর থেকেই আর খোঁজ মিলছে না তাঁর।
খবর ছড়িয়ে পড়তেই এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। চুঁচুড়ার বিধায়ক অসিত মজুমদার ও তৃণমূল নেতা তপন দাশগুপ্ত ঘটনাস্থলে পৌঁছন। আসে চুঁচুড়া থানার পুলিশ। বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী নদীতে তল্লাশি শুরু করেছে। তপন দাশগুপ্ত বলেন, “অনেক মানুষকে গঙ্গায় ডুবে যাওয়া থেকে উদ্ধার করেছেন সুরেন্দর। আজ তাঁরই খোঁজ মিলছে না। শুনে বিশ্বাস করতে কষ্ট হচ্ছে।” বিধায়ক অসিত মজুমদারের কথায়, “যে নিজে এত মানুষের প্রাণ বাঁচিয়েছে, সেই যদি গঙ্গায় ডুবে যায়, তাহলে এটাকে কীভাবে ব্যাখ্যা করব!”
আরও পড়ুন: বাড়িঘর বাঁচবে তো! চিন্তায় বাসিন্দারা; একটু একটু করে নদীগর্ভে ঢুকে যাচ্ছে ডাঙ্গি ফরেস্ট
প্রয়াতের ভাই বীরেন্দর সাহানী বলেন, “দাদা দুর্দান্ত সাঁতার জানত। প্রতিদিনই গঙ্গায় নামত। আজ আর উঠল না।” স্থানীয় কাউন্সিলর মিতা চট্টোপাধ্যায় জানান, “আগামী নভেম্বর মাসে সুরেন্দরের মেয়ের বিয়ে। গতকালই লজ বুক করেছে। এত ভাল সাঁতারু গঙ্গা থেকে উঠবেন না এটা বিশ্বাস হচ্ছে না।”
যেখান থেকে তিনি বারবার ফিরিয়ে এনেছিলেন অন্যদের, সেখানেই আজ তাঁর খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী।