পুলিশ আধিকারিককে গালিগালাজ। তাঁদের বাড়ির মহিলাকে অসম্মানের যে অডিয়ো ক্লিপটি ভাইরাল হয়েছিল সোশ্যাল মিডিয়ায় সেটি নাকি অনুব্রতর নয়। এবার এমনটাই দাবি তুললেন তাঁর অনুগামী গগন সরকার। জানালেন, কোনও ফোন কল নাকি অনুব্রত ওরফে কেষ্ট মণ্ডল করেননি। সবটাই এআই (AI) দিয়ে করানো হয়েছে। যে কাজের জন্য দলের নির্দেশে তিনি ক্ষমা চাইলেন, এখন সেই অনুব্রতরই অনুগামী বলছেন তিনি এই কাজ করেননি। তাহলে ক্ষমা চাইলেন কেন? বিরোধীরা তুলছে এমনই প্রশ্ন।
আরও পড়ুন: বাঁশি শুনে আর কাজ নাই! একই কেষ্টর একই বাঁশি, শুধু পর্দা আর ভাষার ফারাক
শনিবার বোলপুর থানায় হাজিরা দেননি অনুব্রত। রবিবার সকাল থেকেই প্রশ্ন উঠছিল তবে কি আজ হাজিরা দেবেন? কিন্তু দেখা গেল এ দিনও হাজিরা দেননি কেষ্ট। সূত্রের খবর, সকালে ঘুম থেকে উঠেছেন অনুব্রত। কিন্তু তারপরও হাজিরা দেবেন না। এরপর আজ সকালে বোলপুর থানায় এলেন তাঁর আইনজীবী বিপত্তারণ ভট্টাচার্য ও এক অনুগামী গগন সরকার।
থানায় ঢোকার মুখে সাংবাদিকরা গগনবাবুকে প্রশ্ন করেন, “আজ অনুব্রত মণ্ডল কি হাজিরা দেবেন?” সেই সময় অনুগামী জানান, “অনুব্রতবাবু অসুস্থ। বেড রেস্টে আছেন। বাড়িতে আছেন। বিছানায় আছেন।” তারপর বিষয়টি এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন তিনি। বারেবারে বলতে শুরু করেন, “আমার একটু কাজ আছে। কিচ্ছু বলব না। এর বাইরে কিছু বলব না…।”
আরও পড়ুন: পুরনো আতঙ্কই ফিরছে! ৩ হাজারের গণ্ডিও পার করে গেল
এর পরবর্তীতে তিনি বলেন, “কোনও ফোন কল অনুব্রত মণ্ডল করেননি। এআই-এর মাধ্যমে করা হয়েছে।” বস্তুত, এর আগে যখন দলের নির্দেশে কেষ্ট ক্ষমা চেয়েছিলেন সেই চিঠির কোথাও লেখা ছিল এআই-এর কারসাজি। চিঠিতে লেখা ছিল, ‘আমার ও বোলপুরের IC-র গালমন্দের ফুটেজ বিজেপি পেল কীভাবে? কে দিল? কোনও চক্রান্ত নেই তো?’ তাহলে এখন কেন AI-এর প্রসঙ্গ তুললেন তিনি?
গগনের দাবি, দল বলছে তাই অনুব্রত ক্ষমা চেয়েছেন। তিনি বলেন, “পার্টি যা নির্দেশ দেবে অনুব্রত মণ্ডল করবে। উনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুগত সৈনিক। দল যা তদন্ত করার করবে।” পরক্ষণে বলেন, “এই ঘটনায় বিজেপি যুক্ত থাকতে পারে। দলের একাংশও যুক্ত থাকতে পারে…. দল ক্ষমা চাইতে বলছে, তাই চেয়েছে।”